Karoly Takacs Story in Bengali,ক্যারোলি

ক্যারোলি টাক্যাকসের  (Karoly Takacs) স্বপ্ন জয়ের কাহিনী

Karoly Takacs Story – ক্যারোলি টাক্যাকস জীবন ইতিহাস। তিনি একজন হাঙ্গেরিয়ান,ক্যারোলি একজন আর্মি ম্যান ছিলেন। তার জীবনে তিনি একহাতে অলিম্পিক ইতিহাস গড়ার ব্যক্তি হাঙ্গেরিতে (২১ জানুয়ারী ১৯১০  – ৫ জানুয়ারী ১৯৭৬) জন্ম নেওয়া। এই আর্মি ম্যান একহাতে অলিম্পিক ইতিহাসে স্বর্ণ পদক জয় করে ইতিহাস গড়েন। 

অনুপ্রেরণা মূলক বিশ্বের সেরা একজন আর্মি ম্যানের জীবনী । এই কাহিনীতে জীবনে হার না মানার একটা কাহিনী জানবো। এই কাহিনীটা একটু পুরনো  ১৯৩৮ সালের। 

  • হাঙ্গেরিয়ান ক্যারোলি টাক্যাকস  (Karoly Takacs) প্রথম শ্যুটার ছিলেন।
  • যিনি ২৫ মিটার দ্রুত পিস্তল ইভেন্টে দুটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। 
  • এক সময়  তার ডান হাতটি খারাপ  হওয়ার পরেও ,
  • তার বাম হাত দিয়ে শ্যুটার  অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। 
  • তিনি হাঙ্গেরীয়ান দেশের সেরা পিস্তল শুটার ছিলেন।
  • দেশে প্রায় সবগুলি ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ তিনি জিতেছিলেন। 
  • সবাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন,
  • যে পরবর্তী ১৯৪০ সালের অলিম্পিকে তিনি স্বর্ণপদক জয় করবেন। 
  • ক্যারোলি টাক্যাকস  (Karoly Takacs) তার সমস্ত ধ্যান জ্ঞান শুটিং এর উপর কেন্দ্রী ভূত করেছিলেন। 
  • তিনি যে হাত দিয়ে তিনি গোল্ড মেডেল জিতের স্বপ্ন দেখে ছিলেন।
  • তিনি সে হাত দিয়ে লিখতে পর্যন্ত পারতেন না । 
  • আর তার জন্য তিনি ও তাঁর জীবনের সব রকম চেষ্টা করেছিলেন।  
  • এবং তার কেবল একটিই স্বপ্ন ছিল, যে তিনি তার এই হাতকে বিশ্বের সেরা শুটিং হাত বানাবেন। 
  • এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে তার হাতটিকে বিশ্বের সেরা শুটিং এর হাত তৈরি করে ফেলেছিলেন।
  • শুধু ছিলেন সময়ের অপেক্ষায় ছিলো। 

কিন্তু অপেক্ষা চলছিলো আন্তর্জাতিক আসরে স্বীকৃতি পাওয়ার। তিনি আর্মি ম্যান হওয়ার জন্য তাকে ১৯৩৮ সালে, আর্মি ট্রেনিংএ যেতে হয়। সেই ট্রেনিং চলার সময় তার দূর্ঘটনা ঘটে।  

ট্রেনিংয়ের সময় তার সেরা শুটিং হাত ডান হাত খারাপ হয়ে যায়।  যে ডান হাতে তার অলেম্পিক গোল্ড মেডেল জিতার কথা। সে হাতটিই উড়ে যায়, এক হ্যান্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণে। –Karoly Takacs Story

তার সব স্বপ্ন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম একনিমেষেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। কিন্তু তিনি হার মানেন নি ?তখন তার কাছে দুটি রাস্তা ছিল। 

Best Real Life Inspirational Story

Karoly Takacs Story in Bengali,ক্যারোলি
ক্যারোলি

 – বাকি জীবন কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হত !

আর  –  তার যে স্বপ্ন ছিল এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। সে স্বপ্ন বাস্তবে পুরা করার জন্য যেটা করার প্রয়োজন ছিল, তিনি সেটাই করেছিলেন।

তিনি ২য় রাস্তাটিই বেছে নিলেন। যা চলে গিয়েছে তার জন্য ভেবে সময় নষ্ট না করে। 

হাসপাতাল থেকে ফিরে এক মাস পারেই, তিনি বাম হাত দিয়ে প্রশিক্ষন শুরু করলেন। তার কাছে যা ছিল, তিনি সেটা দিয়ে তিনি স্বপ্ন জয়ের জন্য,প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। 

তার স্বপ্ন হিসেবে ছিল তার বাম হাত। এমন একটি হাত দিয়ে তিনি  গোল্ড মেডেল জিতের স্বপ্নকে ধরতে যাচ্ছিলেন। যে হাত দিয়ে তিনি লিখতে পর্যন্ত পারেন তিনি । 

তাকে এক মাস পর্যন্ত তার আহত হাতের জন্য তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকতে হয়। এক বছর পর মানে ১৯৩৯ সালে তিনি আবার ফিরে আসেন। 

ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছিল হাঙ্গেরিতে,সবাই তাকে দেখে অবাক হয়েছিল এবং তাকে প্রসংসা করছিলেন। 

যে এটাই হচ্ছে আসল স্পোর্টস ম্যান নিজে না অংশ গ্রহণ না করলেও বাকিদের অনুপ্রেরণা দিতে চলে এসেছে। 

  • ক্যারোলি তাদের ভুল ভাঙ্গলেন,বললেন – কে বললো আমি অনুপ্রেরণা দিতে এসেছি। 
  • আমি এসেছি তোমাদের সাথে লড়ে নিজেকে প্রমান করতে। সবাই একটু ভ্রূকুচ কালো। 

বাকি প্রতিযোগীরা যখন তাদের বেস্ট শুটিং হাত দিয়ে লড়াইতে নামলো ,ক্যারোলি নিশানা লাগাচ্ছিলেন তার কাছে  থাকা তার একমাত্র হাত দিয়ে। 

  • শেষে তার একমাত্র হাত  দিয়ে শুটিং এ চ্যাম্পিয়ন শিপ জিতলেন …!
  • কিন্তু তিনি এখানেই থামলেন না,
  • তার উদ্দেশ্য তার এই হাতকে শুধু দেশের সেরা শুটিং হাত বানানো না।

তার হাতকে বিশ্বের সেরা শুটিং এ হাত বানাতে চেয়েছিলেন। তিনি তার অলিম্পিক জয়ের স্বপ্নে অটল রইলেন। তার ধ্যান জ্ঞান কেন্দ্রীভূত করলেন…!

Karoly Takacs Bangla Motivational History

 ১৯৪০সালের অলিম্পিকের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে সে বছর অলিম্পিক বাতিল হয়ে গেল। 

তারপর তিনি তার স্বপ্ন কে ১৯৪৪ সালের অলিম্পিকের দিকে কেন্দ্রীভূত করলেন। কিন্তু যা হবার যুদ্ধের জন্য ১৯৪৪ সালের অলিম্পিক ববাদ হয়ে গেলো। 

তখন তার স্বপ্ন শুধু ধূসর হতে লাগলো,  কিন্তু কিছু করার নেই ?

কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি, ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকের জন্য অধীর আগ্রহে রইলেন। কিন্তু সময় কারো জন্য বসে থাকে না  ১৯৩৮ সালে তার বয়স ছিল ২৮ বছর  কিন্তু ১৯৪৮ সালে তার বয়স ৩৮ বছর বয়স। 

কিন্তু তিনি অংশ গ্রহণ করলেন। পুরো পৃথিবীর বেস্ট শুটাররা তাদের বেস্ট হাত দিয়ে প্রতিযোগিতা করছিলেন। আর ক্যারোলি করছিলেন তার অন্য বাম হাত  দিয়ে। আর সেই বাম হাত দিয়েই তিনি স্বর্ণ পদক জয়ের ইতিহাস গড়লেন ক্যারোলি।  

  • সেই আর্মি ম্যান ক্যারোলি তাতেও থামেনি।
  • এরপর ১৯৫২ সালে প্রতিযোগিতায়  অংশগ্রহণ করেন এবং স্বর্ণ পদক জয় করে ইতিহাস গড়েন। 
  • এর আগে কোন এথলেট কোন নিরদ্রষ্ট ইভেন্টে পর পর দুইবার স্বর্ণ জয়ের এমন রেকর্ড করতে পারেন নি।
  • ক্যারোলি তার একমাত্র বাম হাত দিয়ে শিরোপাটি আবার নিজের নামে করে নিলেন।

মনযোগ এবং নিশানার এই খেলা, তরুনদের চোখের সাথে প্রতিযোগিতা করে।  জেতা শুধু কঠিনই নয় প্রায় অসাধ্য। 

কিন্তু সেই আর্মি ম্যান অসাধ্য বলে কোন শব্দ হয়তো ক্যারোলির ডিকশনারিতেই ছিলনা। বলা যেতে পারে – মানুষ যখন তার স্বপ্নে অটুট থাকে,তখন তার কাছে কিছুই অসাধ্য থাকে না। 

যারা নিজের স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য অটল থাকে, এক মাত্র তারাই স্বপ্ন জয়  করতে পারে।

  • হাঙ্গেরীয় অ্যাথলিট যিনি হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে।
  • শ্যুটিংয়ের হাত,খারাপ হওয়ার পরেও তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। 
  • হাঙ্গেরীয় অ্যাথলিট ক্যারোলি টাক্যাকস খারাপ হওয়া সত্ত্বেও, 
  • তিনি পিস্তল শ্যুটিংয়ে অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতে ছিলেন। 

যদি আমাদেরও  কিছু করার সংকল্প থাকে , তাহলে আমরাও করতে পারবো। আমার দ্বারায় হবে না , বা  পারবো না , বললে কোনো কাজে  সফল হাওয়া যাবে না। – Karoly Takacs Story

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

1 thought on “Karoly Takacs Story in Bengali,ক্যারোলি”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top