ঠান্ডা ও কাশি ঔষধ প্রাচীন কাল থেকেই আদার রস ব্যবহার হয়ে আসছে। আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে 10 – 15 সেকেন্ড গরম করে খেয়ে নিন ভালো ফল পাবেন।
আদা চেনে না এমন মানুষ নেই। আদা দেখতে অনেকটা,আদা দেখতে রাইজোম (Rhizome)বাইরের দিকে হলুদাভ,আর ভিতরে হালকা সবুজ-হলুদ রঙের হয়।
|
আদার ছবি |
আদা রান্নার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও আদার রস বা আদা চা সকলের প্রিয়। আজকের দিনে প্রায় সব বাড়িতে আদা চা বানানো হয়।
বড় পাতার গুলো একটু লম্বা মতো ,আদা গাছ অনেক গুলি এক সাথে থাকে। আদা গাছ লম্বা প্রায় 10 -15 সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে।
আদার মধ্যে যে সমস্ত উপাদান পাওয়া যায়
মোটামুটি 100 গ্রাম আদায় রয়েছে
এনার্জি -80 (৮০) ক্যালরি।
কার্বোহাইড্রেট -17 (১৭) গ্রাম।
ফ্যাট -0.75 (০.৭৫) গ্রাম।
পটাসিয়াম- 415(৪১৫) মিলিগ্রাম।
ফসফরাস- 34(৩৪) মিলিগ্রাম।
আদার গুনাগুণ ও উপকারিতা
- আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- আদা আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় খাবারের সাথে থাকলে ,খাবারের যেমন স্বাদ বাড়ে। সাথে সাথে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়ে থাকি। পেটে হজমের কাজ করে।
- ঋতু পরিবর্তন বা আমাদের শরীরে একটু ঠাণ্ডা লাগলে আদা থেতলে জলের মধ্যে গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সাথে সর্দি ও কাশি থেকেও উপকার পাওয়া যায়।
- বমি ভাব বা বমি হচ্ছে অনেক…?
- আদা ছিলিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে টুকরো টুকরো করে চিবিয়ে খান ,বা আদার রসের সাথে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে পান করুন।সাথে সাথে ফলাফল পাওয়া যাবে।
- পেটে ব্যাথা হলে ,আদা চা খেতে পারেন। আদার মধ্যে কিছু বেদনা নাশক উপাদান রয়েছে ,ফলে সাথে সাথে পেটের ব্যাথা থেকে উপকার পেতে পারেন।
- আদা আমাদের খূশকির সমস্যা দূর করে। স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে খুশকি সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক, আদা স্ক্যাল্প থেকে মরা কোষ দুর করে এবং মাথার চুলের ভেতর পর্যন্ত পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
- গরমের সময় আমাদের চুলের আগা ফেটে যায় ,এটা একটা সাধারণ সমস্যা। এথেকে বাঁচতে আদার রস ব্যবহার করলে সাথে সাথে ফলাফল পেয়ে যাবেন।
- পেট ফাঁপা দূর করে ,হজম প্রক্রিয়া ,পাচক রস ও বায়ুনাশক ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- ক্ষুধামন্দা ভাব থাকলে খাবার, আগে একটু আদা খেয়ে নিন। আর বমি ভাব থাকলেও কমে যাবে।
- আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- আদার রস শরীরের কোষের গ্লুকোজ শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে দীর্ঘ মেয়াদী ,সুগার ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের কোষ গুলিতে ইনসুলিন চলাচল করতে ঠিক রাখে।
- রক্তে কোলেস্টরল মাত্রা কম করতে সাহায্য করে আদা ।
- আদার রস নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের রক্ত শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
আদা খাওয়ার উপকারিতা কী কী? (আদার উপকারিতা কি কি)
- আদার রস, দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে এবং দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- নিয়মিত,আদা খেলে ত্বকে ব্রণ উঠা বন্ধ হয় ও ত্বক পরিস্কার ও নমনীয়তা করে তোলে।
বাতের ব্যাথা সমস্যায়,
বিশেষ করে আমবাত হলে-১ চামচ আদার রস ও ১০ গ্রাম পুরানো আঁখের গুড় মিশিয়ে, প্রতিদিন সকালে একবার করে একমাস খেলে ভালো ফল পাবেন।
আদায় থাকা কিছু উপাদান মানষিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
আদার রস ,শরীরকে শীতল রাখে ও লিভারের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে , কৃমিনাশক, নাক, কান, ও গলা’জনিত রোগ থেকে উপশম করে।
আদা ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আদায় ,ওভারিয়ান নামক বিষেশ উপাদান ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধের কাজ করে।
হার্টের ক্ষেত্রে ,আদার রস রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও ধমনীতে চর্বি জমতে দেয়না। আদা চা বা আদা রস খেলে -হৃৎযন্ত্র ঠিক থাকে ও হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
কিভাবে আদা খাবেন (আদার উপকারিতা কি কি)
আদা থেতলে নিয়ে, আদাকে জলের মধ্যে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে, সে জল চায়ের মতো ব্যবহার করতে পারেন।
চা বানানোর সময় আদা থেঁতলে দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। ওই আদা জল চা বানান ,দেখবেন চায়ের স্বাদ কত গুণ বেড়ে গেছে।
হজমের সাহায্য করার জন্য, আদা সিরাপ বানিয়ে খেতে পারেন।
- জিরে গুড়ো, বিট লবণ, আদার রস, লেবুর রস, ঠান্ডা জলে, এক সাথে মিশিয়ে ফেলেন করে।
- আদার সিরাপ, দুপুরে ও রাতে খাবার পরে এই সিরাপ খেতে পারেন।
- আদা টুকরো টুকরো করে কেটে ভিনিগারের মধ্যে লবন,লঙ্কা মিশিয়ে কিছু দিন রাখুন।
- তার পর আদার আচার হিসাবে খাবার সময় খেতে পারেন।
- সকল বেলা বা যে কোনো সময় ,যদি আপনার হজমের সমস্যা
- বা পেটে গ্যাস বলে মনে হলে। আদার এক টুকরো ভালো করে ছিলে নিয়ে।
- বিট লাবনের সাথে চিবিয়ে খেয়ে নিন। সাথে সাথে ফল পাবেন।
আদা খাবার সময় ঝাঁজ-তো লাগবে ,কোনো অসুবিধা নেই, খেয়ে নিন।
মুখ ফ্রেস হিসাবে
আদাকে ভালো ছিলিয়ে ও ধুয়ে ,পরিষ্কার করে ,একটু লম্বা ও চিকন করে কেঁটে নিন।
তার পার হালকা বিট লবণ মিশিয়ে ,রোদের মধ্যে ভালো শুকিয়ে নিন।
পরে কৌটার মধ্যে রেখে দিন। পরে এক টুকরো করে খেয়ে নিন ,দেখবেন মুখ ফ্রেস লাগবে।
বাড়িতে নিজেরাই বানিয়ে ব্যবহার করে দেখুন।
আদা অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াই ভালো। আদায় স্টিম্যুলেট রয়েছে যা শরীরের পেশী মজবুত করে।
- এর ফলে গর্ভবতী মহিলাদের, আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস।
অতিরিক্ত আদা খেলে বুকের ব্যথা ও হতে পারে।
- এ ছাড়াও যারা উচ্চ রক্তচাপের জন্য নিয়মিত ঔষধ খান ,তাঁদের অবশ্যই আদাকে এড়িয়ে চলা উচিত।
- আদার উপকারিতা কি কি পড়ে বা জেনে কি রকম লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার বাংলা খবর ফেসবুকে লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুবেন না। এ রকম আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমার বাংলা খবরের সাথে থাকুন
- Covid- 19
- Election
- Good Morning
- Good Night Wishes
- Happy Holi
- Happy New Year
- Jante Hobe – জানতে হবে
- Job
- Romantic
- Top 10
- Uncategorized
- অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি
- উৎসব
- ঔষধি গাছের উপকারিতা
- খবর
- খাবার
- গুরুত্বপূর্ণ দিবস
- চাণক্যনীতি
- জীবনের গল্প
- ফলের উপকারিতা,Best Benefits of Fruits
- বাণী সমগ্র
- বাংলা কুইজ
- বিখ্যাত উক্তি ও বাণী
- মনীষীদের বাণী ও উক্তি, Bikhato Monishider Ukti
- মোটিভেশনাল
- শরীর স্বাস্থ্য
- শরীর স্বাস্থ্য ও খাবার
- শুভেচ্ছা বার্তা
- হাসির জোকস
👍👍👍👍👍