Best Fitness Tips For Good Health
সুস্বাস্থ্যের জন্য করনীয় কি কি – আমাদের সকলের জানা, এক জন মানুষের সুস্বাস্থ্যের বা ভালো থাকার জন্য, শরীর চর্চা বা ব্যায়াম, সুষম খাবার ও সাথে বিশ্রাম বা ভালো ঘুমের প্রয়োজন। একজন মানুষ শরীর ভালো দেখা গেলে হবে না,সাথে তার শরীর নিরোগ হতে হবে। তবেই তো তাকে সুস্বাস্থ্য বলা হবে।
ব্যায়াম :-আমরা নিয়মিত যোগ ,ব্যায়াম বা খেলা ধুলা করি -তাহলে আমাদের দীর্ঘ আয়ুর সাথে সাথে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এবং আমাদের মন ও শরীর ভালো থাকবে। যদি নিয়মিত খেলা ধুলা, যোগ,ব্যায়াম করি আমাদের শরীরে কোনো অসুখ কাছে আস্তে পারবে না। আর যদি অল্প কোনো সমস্যা থাকে তা কমাতে সাহায্য করবে।
সুস্বাস্থ্য গঠনের উপায়, (সুস্বাস্থ্যের জন্য করনীয়)
- সঠিক ব্যায়াম ,আমাদের শরীর নমনীয়তা বা অনেক অসুখ ভালো করতে পারে,
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, এমনকি শরীরের হালকা ব্যথাও কম করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করলে – মেরুদণ্ডের সমর্থনকারী পেশীগুলিকেও শক্তিশালী হয়ে উঠে।
- এছাড়াও মানুষের শরীরের জয়েন্ট গুলির ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন ও পুষ্টির বিতরণের আরও উন্নতি হয়।
- নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের স্বল্প মেয়াদে ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
- যদি আমরা নিয়মিত রুটিন মাফিক ভাবে ব্যায়াম করতে পারি।
- তবে এ থেকে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য জটিলতার অনেক কিছুর ঝুঁকি কম করতে পারে,
- যেমন-উচ্চ্ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ইত্যাদি।
ব্যায়ামের ছবি |
- দৈনিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা ব্যায়ামে,
- আমাদের শরীরের উপর অনেক প্রভাব পরে ,যেমন –
- আমাদের মেজাজের উপর প্রভাব :- শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা ব্যায়াম ,মানুষকে আরও জাগ্রত এবং শান্ত করে তোলে।
- ফলে খেলার সময় আমাদের মন হাসি -খুশি মধ্যে থাকে।
- তাই আমাদের মেজাজ অনেক কম হয়।
- স্ট্রেস বা মানষিক চাপের উপর প্রভাব :- শারীরিক ব্যায়ামেরে সাথে মনোরঞ্জন হয়।
- ফলে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ উপশম ,করতে খুব কার্যকর হতে পারে।
- হতাশা এবং উদ্বেগের উপর প্রভাব :- নিয়মিত খেলা -ধুলার করলে আমাদের মন ভালো থাকে।
- শারীরিক কার্যকলাপ মানুষের উদ্বেগের মাত্রা হ্রাস করতে পারে।
- ব্যায়াম বা শরীর চর্চায় ব্যস্ত থাকে তাহলে হতাশা থেকে কেটে উঠতে পারে।
খাবার বা খাদ্য – শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
- আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য শুধু ভালো রাখার জন্য যোগ ব্যায়াম করলেই হবে না
- সাথে সাথে ভালো খাবার ও খেতে হবে।
- সাধারণ খাদ্য স্বাস্থ্য জন্য তো ভালো !
- কিন্তু সাথে সাথে সুষম খাবার ও খেতে হবে।
- সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আপনাকে আপনার সেরা অনুভব করতে সহায়তা করে।
- স্বাস্থ্যকর শরীর অর্জন ও বজায় রাখতে আমাদের সঠিক পরিমাণে খাবার ও পানীয় সহ।
- সঠিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের খাবার গ্রহণ করা উচিত।
- স্টার্চযুক্ত খাবার :-স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্যর অংশ হিসাবে
- আমাদের প্রতিদিন কিছু স্টার্চি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। এ
- ই খাবারগুলি আমাদের ডায়েটে প্রচুর পুষ্টির মূল উৎস ।
- পাশাপাশি স্টার্চ যেমন ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বি ভিটামিন রয়েছে।
- স্টার্চি জাতীয় খাবারের কয়েকটি উদাহরণ আলু ,রুটি, চাল এবং শস্য।
- দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার :- যেমন -পনির এবং দইয়ের মতো খাবারগুলি প্রোটিনের ভাল উৎস।
- এগুলিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার হাড়গুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- দুধে চর্বি অল্প বয়সী বাচ্চাদের জন্য ক্যালোরি সরবরাহ করে এবং এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে।
সুস্থ শরীর পেতে গেলে যা করতে হবে, (সুস্বাস্থ্যের জন্য করনীয়)
- তবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, লো-ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়াই ভাল।
- তবে চর্বি, লবণের পরিমাণ কম এবং অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- মাখনের পরিবর্তে কম চর্বিযুক্ত স্প্রেড নির্বাচন করা আপনার মেদ খাওয়াকে হ্রাস করার একটি ভাল উপায়।
- এছাড়া আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ,অবশ্যই যে কোনো ফল রাখা উচিত।
- খাদ্য তালিকায় আমাদের দেশে ফল পাওয়া যায়,
- সে গুলোর মধ্যে যে কোনো ফল রাখলে চলবে।
- আমরা যে কোনো জাগায় থাকি না কেন..?
- সে আবহাওয়ার সাথে আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক এক মিল থাকে।
- সে কারনে স্থানীয় জাগার ফল খেলে আমাদের শরীর স্বাথ্য ভালো থাকবে।
- ডাল, মাছ, ডিম, মাংস এবং অন্যান্য প্রোটিন :-
- এই খাবারগুলি সমস্ত প্রোটিনের উৎস যা শরীরের নিজের বৃদ্ধি এবং মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয়।
- এগুলি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ গুলির ভালো উৎস।
- তেলযুক্ত খাবার :-
- আমাদের ডায়েটে অল্প পরিমাণে চর্বি গ্রহণ জরুরি।
- ফ্যাটযুক্ত খাবারগুলি মাংসের টুকরা, ক্রিম, ঘি, মাখন, কেক, বিস্কুট,
- এই খাবারগুলি এড়ানো উচিত চর্বিযুক্ত খাবারগুলি তৈলাক্ত মাছ, বীজ, বাদাম।
- ফাইবার এবং কোলেস্টেরল :-
- অধিক পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খান, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
- এবং কিছু উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
- ফাইবারের উৎস খাবার যেমন-
- ওট, বার্লি, ফল, রুটি। কিছু খাবারে প্রাকৃতিক ভাবে কোলেস্টেরল থাকে যা ডায়েটারি কোলেস্টেরল হিসাবে পরিচিত ।
- কিডনি, ডিম এবং চিংড়ি জাতীয় খাবার অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডায়েটারি কোলেস্টেরল বেশি ।
মিষ্টি জাতীয় খাবার :-
- উচ্চ পরিমাণে খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া আপনার দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় সহ সুস্বাদু খাবারগুলি এবং পানীয়গুলি প্রায়শই উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে।
- যদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তবে ওজন বাড়তে ভূমিকা রাখতে পারে।
- এগুলি দাঁত ক্ষয় হতে পারে, বিশেষত যদি খাবারের মধ্যে খাওয়া হয়।
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম বা বিশ্রাম
- শুধু শরীর চর্চা ,ব্যায়াম ভালো খাবার খেলে ,কি সুস্বাস্থ্যবান হওয়া যাবে।
- উত্তর কি হবে না।
- তাহলে প্রত্যেক মানুষের জন্য ঘুম বা বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তাহলে ঘুম বা বিশ্রাম কি..?
- ঘুম আমাদের দেহের ও মনের জন্য এমন একটি অবস্থা
- যা সাধারণত প্রতি রাতে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে পুনরাবৃত্তি হয়।
- যখন আমরা বিছানার মধ্যে ঘুমাই ,তখন আমাদের স্নায়ুতন্ত্র নিষ্ক্রিয় থাকে,
- চোখ বন্ধ থাকে, প্রচ্ছন্ন পেশীগুলি শিথিল হয়
- এবং সচেতনাকে কার্যত স্থগিত করা হয়।
- এই সময় আমরা ঘুমের মধ্যে থাকি।
- আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণে ঘুমাই,
- তার সাথে অন্যান্য দিকগুলি আমাদের স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের (health) জন্য ও বিশেষ অবদান রাখে।
- আমাদের শরীর কে যদি নিয়মিত ঘুমাতে ও বিশ্রাম দিতে না পারি ,
- তাহলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে।
- ঘুম নিয়মিত না হলে -বিপাক, স্মৃতি শক্তি, পড়াশুনা এবং অন্যান্য বড় কার্যাদি করতে বাধা হতে পারে।
- তাই ঘুম বা বিশ্রাম যে কোনো কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভালো ঘুম কি ভাবে ঘুমাবেন :-
- আমাদের দিন বা রাত কাজের সময় বা রুটিন করে নেওয়া উচিত।
- প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা উচিত।
- আমাদের শোবার ঘরটি আরামদায়ক, স্বাচ্ছন্দ্যময় হওয়া উচিত।
- মনে রাখা উচিত শোবার সময় বালিশের নীচে।
- যেমন – মোবাইল, টিভির রিমোট বা ইলেকট্রনিক কোনো জিনিস না থাকে।
- রাতে হালকা খাবার খাবেন এবং বিছানায় যাওয়ার আগে মদ বা নেশা জাতীয় কিছু গ্রহণ করবেন না।
- দিনের বেলা পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে,
- আপনার রাতে সহজে ঘুম আসবে।
- যারা পড়াশুনা করে,তাদের পর্যাপ্ত ঘুম না হলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
- যদি রাত্রে ভালো ঘুম না হয় ,সকাল বেলা বা দিন ভর আমাদের মনের মধ্যে ভাবনা থেকে যায়।
- এই ভাবনার ফলে কোনো কাজের মনোযোগ বা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
- এ জন্য কোনো কাজ করার পরিষ্কার চিন্তা ভাবনা থেকে মনকে প্রভাবিত করে।
- যে বয়সে যতটুকু সময় ঘুমানো উচিত, সে বয়সে ততটুকু ঘুমানো উচিত।
ভালো স্মৃতি শক্তির জন্য :-
- আমাদের মস্তিষ্ক প্রক্রিয়া দিন যে কাজ তা থেকে আমাদের স্মৃতি সংগ্রহ হয়।
- যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়
- তাহলে সেই স্মৃতিগুলি সঠিকভাবে সঞ্চয় হয়না।
- ফলে স্মৃতি হারিয়ে যেতে পারে।
- সুস্বাস্থ্যের জন্য করনীয় কি সমন্ধে ভালো লাগলে।
- অবশ্যই আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন !
- আমার বাংলার সাথে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ 🙏🙏🙏💓
👍👍👍