শাক সবজির উপকারিতা -কোন সবজিতে কী গুণ

কোন সবজিতে কী গুণ আছে

বিভিন্ন রকমের শাকসবজির গুনাগুন সমন্ধে আমাদের জানা প্রয়োজন।  যা আমাদের প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করে আসছে।  তাই প্রত্যেকটি শাকসবজি সমন্ধে কিছু ধারণা থাকা উচিত। জেনে রাখতে পারেন, কোন শাকসবজিতে কি কি উপকারিতা ও গুনাগুন রয়েছে।

 

নিচে একটি একটি করে শাক সবজি সমন্ধে সংক্ষেপে বলা হয়েছে। এই শাক সবজি আলাদা আলাদা সময়ে পাওয়া যায়। প্রতিটি শাক ও সবজি  কর্তার দান। এই শাক সবজি নিয়মিত খেলে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

শাক সবজির উপকারিতা - কোন সবজিতে কী গুণ আছে
কোন সবজিতে কী গুণ আছে
শাকসবজি 
 

 লাল শাক 

 লাল শাক শরীরের রক্তের পরিমাণ বাড়ায়় দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় রাতকানা রোগ দূর করে । শরীরের ওজন কমাতে সাহায‍্য করে। শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। মস্তিষ্ক এবং হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে ।দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করে।

 

পাট শাক 

খাওয়ার  রুচি বাড়ায ও মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের বাতের ব্যথা দূর করে। রক্ত পরিষ্কার করে ও রাতকানা রোগ ভালো করতে সাহায্য করে। পাটের পাতার মধ্যে টিউমার ও ক্যান্সার রোধ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

তেজপাতা

শরীরের লাবণ্য বৃদ্ধি করে ও চর্মরোগ দূর করে। প্রস্রাব হলুদ রং হলে ভালো করতে সাহায্য করে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ভালো করে। শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে ও অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া কমায।  মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। 

কচুর মুখি 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এনার্জি ধরে রাখে ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

 কচুর লতি 

শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হাড়ের গঠনে ও শক্ত রাখতে সাহায্য করে।  ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বিশেষ ভাবে কাজ করে।

আদা 

  • মাথা ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। মাতৃত্বকালীন বমি বমি ভাব কমায় ।
  • শরীরের জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায‍্য করে।  অফুরন্ত প্রাণশক্তি পাওয়া যায। 
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভাবে কাজ করে।
  • অপারেশনের পর কাঁচা আদা খেলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।
  • ঠান্ডা ও সর্দিতে আদা চা খুব ভালো কাজ করে।

ফুলকপি

 ক্যান্সার প্রতিরোধ করেতে সাহায্য করে।হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটায়।

বিট 

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। যকৃৎ ভালো রাখে। হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 

কাঁকরোল 

হজমে সাহায্য করে। প্রচুর আয়রন, প্রোটিন এবং আঁশে ভরা থাকে। কাঁকরোলে প্রচুর এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যা চোখের উপকার করে। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 

সাজিনা বা সাজনে ডাটা (শাক সবজির উপকারিতা)

  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • বাত ও শ্লেষ্মা জন্য ভালো কাজ করে। সজনে ডাটা চোখের জন্য ভালো কাজ করে।
  • শরীরের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ থেকে ত্বককে মুক্ত করে। 

লাউ

  • লাউ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি’ সি’ এবং ফলিক এসিড আছে।
  • শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 
  • শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও রাতের ঘুম ভালো হয়।

কলমি শাক

 কলমি শাক এর মধ্যে ভিটামিন-সি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতা দূর করে।

ঝিঙে

ঝিঙে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য মহা ওষুধের কাজ করে।  ডায়াবেটিসের রোগীর জন্যে উপকারী। জন্ডিস নিরাময়কারী হিসেবে কাজ করে। পাকস্থলী ভালো রাখে। এন্টিবায়োটিকের বিশেষ চমৎকার গুণ রয়েছে এই ঝিঙের মধ্যে।

ঢেঁড়স

ঢেঁড়স আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী সবজি। রক্ত শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ

কীটপতঙ্গের কামড়ের ব্যথা দূর করতে পেঁয়াজ উপকারী। গলা ব্যথা দূর করে। মুখের ব্রণ দূর করে। পোড়া স্থানে ব্যথা ও জ্বালা কমায়। চুল পড়া প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজ এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। বমি বমিভাব দূর করে। 

রসুন

  • এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে।
  • হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা রসুন শরীরের রোগ নিয়ন্ত্রণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • হজমের সমস্যা দূর করে সর্দি-কাশিতে ও রসুনের উপকারী নির্মূল করতে রসুন বেশ কার্যকরী
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে রসুন ভালো কাজ করে।
শাক সবজির উপকারিতা মধ্যে ”করলা”

উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতা দূর করে। মাথা ব্যথা কমায়। ম্যালেরিয়া থেকে স্বস্তি দেয। তারুণ্য ধরে রাখে । ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পটল 

নিয়মিত পটল খেলে কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলেস্টরোল ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

বরবটি 

বরবটি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক  দেয়। হাড় মজবুত ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রক্তে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শরীরে খারাপ  কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। 

বেগুন

বেগুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মস্তিস্ক ভালো রাখতে  সাহায্য করে।  হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।  ত্বকের সৌন্দর্য্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

পনিরের উপকারিতা

  • পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন। হাড়  ও দাঁত মজবুতের  জন্য বিশেষ উপকারী এই পনির। 
  • সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পনির। শরীরের রক্তের ভারসাম্য ঠিক রাখে। হজম ক্ষমতা  সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রূণ বিকাশে সাহায্য করে। 

 

  • বিভিন্ন রকমের শাক সবজির উপকারিতা ও গুনাগুন সমন্ধে,ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।
  • আর আপনার প্রিয়জন কে পড়ার সুযোগ করে দিন।
  • আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, হ্যাঁ অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খেতে ভালো থাকুন। 
  • আমার বাংলার  সাথে থাকুন 🙏

 

ধন্যবাদ 🙏🙏👊💪💪

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

2 thoughts on “শাক সবজির উপকারিতা -কোন সবজিতে কী গুণ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top