লটকন ফলের যত উপকারিতা

নানা ধরনের ফলের মধ্যে লটকন ফলের গুণের কথা, আমাদের আজও অনেকেরই অজানা। তাই আজ জেনে নেওয়া যাক এই ফলের উপকারিতা। যদি জানেন তবে খুবই ভালো আর যদি না জানেন,তাহলে অবশ্যই জেনে নিন নটকন ফলের উপকারিতা সমন্ধে।
 
 
বর্ষাকালের অন্যতম ফল হলো লটকন, এই ফলের স্বাদ টক-মিষ্টি হয়। যা অনেকেরই খুবই পছন্দ করে। তবে এই ফলের দারুণ কিছু ঔষধি গুণ। লটকন একটি পুষ্টকর ফল। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন, খাদ্য শক্তিসহ নানা ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। 
 

নটকনের গাছ সাধারণত ছায়া যুক্ত জাগায় জন্মায়। এশিয়া মহাদেশের বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও এই গাছের ফলের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। নটকন জাতভেদে ও মাটির উর্বরতা বিশেষ টক বা টকমিষ্টি স্বাদের হয়। লটকন ফলের উপকারিতা ও গুণের কথা জানতে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন। 

  • এই ফলের ভিতরে  2 – 5 অংশে ভাগ ভাগ থাকে।
  • আর প্রত্যেক ভাগে একটি করে বীজ থাকে। এই নটকন ফলের রং অনেকটা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। 

 

  • দেখতে এই নটকন ফল গোলাকার হয়। নটকন গাছ মাটির উর্বরতা উপর ফল ছোট ও বড়ো হয়।
  • এই ফল সাধারণত দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত, গোলাকার হয়ে থাকে। 
 
  • বীজের উপর রসালো ভাগ থাকে আর এই রসালো অংশ  খাওয়া হয়ে থাকে।
  • লটকনের বীজ ও খোসা রং উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • এই রং সিল্ক, তুলা ও বস্ত্রশিল্পে হিসাবে ব্যবহার করা হয়। 
লটকন ফলের যত উপকারিতা
লটকন ফলের ছবি 
  • লটকন গাছের বংশবিস্তার দুভাবে করা হয়। বীজ ও কলম পদ্ধতিতে।
  • যদি বীজ দিয়ে বংশ বিস্তার করলে, স্ত্রী-গাছের তুলনায়, পুরুষ গাছ বেশি হয়।
  • এ কারণে ফল পেতে পাঁচ  থেকে সাত বছর সময় লাগতে পারে। 

লটকন ফলের যত উপকারিতা (লটকন ফলের উপকারিতা)

  • কলম পদ্ধতিতে গাছ লাগালে, মোটামুটি তিন বছরের মধ্যে ফল পাওয়া যায়।
  • গাছের সাইজ ও ছোট থাকে, এ কারণে ফল তোলা সহজ হয়। 
 
  • একটি বয়স্ক গাছ থেকে মোটামুটি 100-150 কেজি ফল পাওয়া যায়। এই ফলের চাহিদা ,বাজারে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এবং প্রতি কেজির দাম ও মোটামুটি 50 -100 টাকা। 

 

  • এই ফল আমাদের দেশে -আলাদা আলাদা জায়গায় আলাদা আলাদা নামে পরিচিত। যেমন – লটকা, লটকো, নকল বা নটকোনা ইত্যাদি নামে পরিচিত। লটকন ফলের নাম শুনলেই রথের মেলা বা  রথযাত্রার  কথা মনে আসে। রথের মেলার সাথে লটকন ফলের একটা  আছে। 

 

  • লটকন গাছের ফুল  মোটামুটি মার্চ মাসের দিকে আসে। আর ফল পাকতে চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। লটকন বাজারে জুন মাস থেকে শুরু করে আগস্ট মাস  পর্যন্ত পাওয়া যায়।
  • নটকনের গাছ লাগানো জন্য বেশি পরিশ্রমের দরকার হয় না। এই গাছ বাগানের ভিতরে বা ছায়াযুক্ত জাগায় ভালো হয়। তাই এই গাছকে বুনো গাছ হিসাবেই বেশি পরিচিত। 

 

  • নটকন ফল একটি ভিটামিন যুক্ত ফল। এই ফলে ভিটামিন সি থাকায় এটি চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

 

  • যদি বমি বমি ভাব মনে হয়, দুই চারটি লটকন খেলেই বমি ভাব দূর হবে। এবং পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতে ও সাহায্য করে। লটকনের বীজ গনোরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। 

 

  • লটকন খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • এই ফলের মধ্যে অতিরিক্ত সুগার নেই। তাই এই ফল খেলে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি সম্ভাবনা নেই। 

নটকনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

  • লটকনের পুষ্টি গুণের পাশাপাশি ঔষধি গুণ ও রয়েছে।
  • লটকনের পাতা ঔষধি হিসেবে কাজ করে।
  • পাতা ও শেখর খেলে পেটের নানান রকমের অসুখ ও জ্বর ভালো হয়। 

 

  • এই ফলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই গরমের সময় তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম। 

 

  • এই নটকন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ফল  3 -5 টি ফল খেলে  দিনের ভিটামিন সি চাহিদা পুরণ হয়। এছাড়াও ত্বক, দাঁত ও হাড়  সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

 

  • এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে – চর্বি, আমিষ, আয়রন ও বিভিন্ন রকমের খনিজ পদার্থ। লটকন ফলের মধ্যে রয়েছে – অ্যামিনো অ্যাসিড ও এনজাইম ,
  • যা আমাদের দেহ গঠন ও কোষকলা ভালো রাখতে, ও রোগ প্রতিরোধ  ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
 
  • এই গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়। এই ফলের মধ্যে আয়রন থাকায় –
  • রক্তশূন্যতা পূরন করতে সাহায্য করে। লটকনে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় –
  • হজম প্রক্রিয়া ঠিক মতো করতে সাহায্য করে। 
 
 
  • লটকনের অনেক রকমের গুনাগুণ রয়েছে। লটকনের গুণ আছে বলে…….বেশি খাওয়া উচিত নয়….!
  • কারণ  – অনেক সময় বেশি খেলে- ক্ষুধা মন্দা দেখা দিতে পারে। 

 

  • লটকন ফলের যত উপকারিতা বিষয়ে জেনে ভালো বা উপকৃত মনে হলে অবশ্যই শেয়ার করুন।
  • আপনারা ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন – সদাসর্বদা আমার বাংলার সাথে থাকুন।
  • আর যদি লটকন ফলের উপকারিতা সমন্ধে কোনো মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে,জানাতে পারেন।  
 
 
ধন্যবাদ  🙏🙏🙏💕
 
ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

2 thoughts on “লটকন ফলের যত উপকারিতা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top