হরিতকীর ফলের উপকারিতা ও গুণাগুণ
হরিতকী আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে জন্য খুবই উপকারী। হরিতকির গুন জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। এই হরিতকী ফলের গাছ ভারত ও বাংলাদেশের অধিকাংশ জাগায় পাওয়া যায়। তবে আগের মতো,আর সব জাগায় পাওয়া যায় না। এই গাছ বনাঞ্চল বা গ্ৰামাঞ্চল পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্ম, এই গাছের সাথে খুব বেশি পরিচিত নয়।
এই ফলের একটি বীজ হয় এবং আকৃতি ছোট বড় হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ত্রিফলা নামে পরিচিত । হরিতকি তিনটি ফলের মধ্যে অন্যতম ফল হিসাবে জানি। হরিতকি ফলের ইংরেজি নাম হলো – মাইরাবেলান। হরিতকীর যত উপকারিতা সমন্ধে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
তিনটি ফল একত্রে নাম হলো – ত্রিফলা। আর এই তিনটি হচ্ছে মহাঔষধ, ১) হরিতকী, ২) আমলকী, ৩) বহেরা। যদি এই তিনটি ফলের মধ্যে তুলনা করলে, হরিতকী ফলের উপকারিতা সর্বশ্রেষ্ঠ।
![]() |
হরিতকীর |
ভেষজ চিকিৎসকরা হরিতকী গাছকে মায়ের সাথে তুলনা করেন। তারা বলেন, প্রকৃতির ঔষধি গাছ মানুষের কাছে; মায়ের মতোই।
এক কাপ পরিমাণে, হরিতকী ভেজানো জল। প্রতি দিন খেতে পারেন, তবে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এবং সংক্রামিত সব রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
উপকারিতা ও গুণাগুণ (হরিতকীর যত উপকারিতা)
- যেমন অর্শরোগে, পিত্তবেদনা, গলার স্বর বসে যাওয়া, বদহজম, আমাশয়, জ্বর, পেটফাঁপা, ঢেঁকুর উঠা, বাতরোগ এছাড়াও অনেক রোগের জন্য। হরিতকী ফলের গুড়ো ব্যবহার করা হয়।
- ত্রিফলার শরবত কোলেস্টেরল বা রক্তচাপ কমানোর জন্য মহাঔষধের কাজ করে। বর্তমান সময়ে ঔষধ গবেষণার এক দলের মতে। কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে, অ্যলোপ্যাথিক ঔষধের তুলনায়। ভেষজ ঔষধ ত্রিফলা, বেশি ফলপ্রসহৃ।
- এই ফলটি স্বাদে তিতা, কিন্তু ফলটির মধ্যে নানান রকমের ঔষধি গুণ রয়েছে। শরীর সুস্বাস্থ্য রাখতে এই ফলের উপকারিতা জুড়ি মেলা ভার।
- প্রথমেই বলেছি হরিতকী অনেক ধরনের রোগ নিরাময়ে খুবই উপকারী ফল।
- হরিতকী রোগ প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিষোধক হিসাবে কাজ করে। সেটা ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণ জনিত রোগের ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে।
হরতকি মানবদেহের জন্য মহাষৌধ
- হরিতকী মানুষের দেহের রক্ত পরিস্কার ও শক্তি বৃদ্ধি করে।
- হরিতকি স্নায়ুবিক দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অবসাদ নিরাময়ে বিশেষ ভাবে কাজ করে।
- এছাড়াও দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। দেহের ওজন কমাতে ব্যবহার করা হয়।
- যদি কোনো সময় আমরা, ত্রিফলার নাম নেই। মানে তিনটি ফলের নাম বা সমাহার। এই তিন ফলের মধ্যে, প্রথমে যে ফলের নাম আসে। তা হলো হরিতকী, আর এই হরিতকী ভেজানো এক কাপ জল প্রতি দিন পান করতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ, আপনার থেকে অনেক দূরে থাকবে।
- এই ফলের মধ্যে বীজ একটাই হয়। এই ফল পাকার সময় হলে, হলুদাভ সবুজ রঙে মতো হয়।
- এ ছাড়া নানান ধরনের বাত রোগ, গলা ও দাঁতের ব্যথার বিশেষ উপকার করে, এই হরিতকি।
- আসল ব্যাপারটা তো এখানেই- এই ফলের কোনো অংশ ফেলা যায় না। আর এই ফল চিবিয়ে খান আর ভেজানো জল পান করুন, তিতকুটে লাগবেই।
- তিতকুটে লাগবে বলে, অনেকেই খান না। এটা মোটেই ঠিক নয়। সব সময় মনে রাখতে হবে। ঔষধের স্বাদ তিতকুটে হবেই।
- তেতো কিন্তু কেউ পছন্দ করে না। একটা জিনিস লক্ষ্যে করবেন, তেতো জিনিস কোথাও রাখলে। সেখানে পিপড়ে পর্যাপ্ত সেখানে আসে না। আর যদি মিষ্টি জিনিস কোথাও রাখেন। দেখবেন মিষ্টি কিন্তু সবাই খাবে।
- একটু খেয়াল করে দেখবেন, যে জিনিসটা খাওয়া নিষেধ থাকে। সেটাই বেশি খেতে ইচ্ছে করে। যেটা শরীরের জন্য ভালো, যেমন তেতো শরীরের জন্য ভালো, সেটা কিন্তু খেতে ইচ্ছা করে না।
- আমাদের শরীরের জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠা, ব্যয়াম, দৌড়াদৌড়ি করলে শরীর ভালো থাকে। কিন্তু এগুলো করতে ইচ্ছা করে না।
- সকাল বেলায় কিন্তু খুব আলস্য হয়। বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে হয় না।
- মনে রাখবেন যেটা করতে ব খেতে ইচ্ছে করে না; সেটাই করুন বা খান।
- সাথে এটাও মনের রাখবেন, কোনো সময়, কোনো কিছুতে জোর করবেন না।
- ফিরে আসি আমাদের আলোচনার বিষয়ে-
- হরিতকী ফলের সাথে সাথে, হরিতকী গাছের কাঠ খুবই শক্ত ও টেকসই। তাই বাড়ি বানানোর থেকে, আসবাবপত্র তৈরি করতে এই কাঠ ব্যবহার করা হয়।
হরতকির উপকারিতা ও ব্যবহার
- তাই এই গাছকে সরকারি বনায়ন কর্মসূচির,আওতায় আনা হয়েছে।
- আমাদের দেশে সরকার, রাস্তার দুই পাশে হরিতকী গাছ রোপন করে চলেছে।
- শুধু হরিতকী নয় এরকম অনেক ধরনের উপকারী গাছ।
- আমলকী, অর্জুন, নিমপাতার গাছ, এছাড়াও বিভিন্ন ফলের গাছ- আম, জাম, কঠাল ইত্যাদি।
- হরিতকী দেহের অন্ত্র পরিস্কার করে ও দেহের শক্তি বাড়ায়।
- রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিচুনি কমায়।
- তবে হরিতকী খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। যেকোনো জিনিস নিয়ম করে নিয়মিত খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন হরতকি খেলে
- অ্যলার্জি কমায়, বেশি ওজনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
- গলা ব্যথা হলে, হরিতকী জলে ফুটিয়ে। সেই জল দিয়ে গারগিল করলে আরাম পাবেন।
- দাঁতের ব্যাথা হলে, হরিতকীর গুড়ো লাগালে; ব্যাথা দূর হবে।
- রাতে শোবার সময়, অল্প বিট লবনের সাথে, হরিতকীর গুড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিস্কার হবে
- হরিতকি গাছের ছাল, শিকড় ও পাতা অনেক ধরনের ঔষধের কাজে ব্যবহৃত হয়।
- হরিতকি মোটামুটি ৭ (সাত) ধরনের পাওয়া যায়।
- কিন্তু এর মধ্যে সেরা গুণ সমৃদ্ধ জাতটি নাম হলো “বিজয়া”
- মনে রাখবেন – হরিতকি আয়ুর্বেদ ঔষধ বলে। কোনো সময় বেশি খাবেন না।এতে ক্ষতি হতে পারে।
- বিভিন্ন রকমের ঔষধি গাছ, পাতা, ফলের উপকারিতা সমন্ধে জানতে আমার বাংলা ফলো করতে পারেন।
- হরিতকীর যত উপকারিতা ও গুনাগুণ সমন্ধে, জেনে ভালো লাগলে বা উপকৃত হলে।
- আপনার প্রিয়জনের সাথে, শেয়ার করতে পারেন।
- আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময় আমার বাংলার সাথে থাকুন।
Thank You 🙏💗
Nice