Better Excellent Chanakya Niti In Bengali
সেরা চাণক্য নীতি – চাণক্য বলেছিলেন সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ! সব বিষয়ে যে মানুষ, সাবধানতা অবলম্বন করেন। তিনি – যে কোনও দুশ্চিন্তায় ভোগেন না। পণ্ডিত চাণক্য এক সামান্য ব্রাহ্মণ ছিলেন কিন্তু তাঁর জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার জন্যই অনায়াসে মৌর্য সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন। তাঁর লেখা ‘অর্থশাস্ত্র’ ভারতের রাজনীতি ও অর্থনীতি চর্চার অগ্রদূত।
পণ্ডিত চাণক্য জ্যোতিষী ছিলেন না, কিন্তু মানুষের স্বভাব ও চরিত্র বিচার করে; বলে দিতেন ভবিষ্যতের কথা। তাঁর বলা সেই কথা গুলিই পরবর্তীকালে ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে পরিচিতি পায়। মানুষের সাবধানতা গুলি শারীরিক এবং মানসিক অভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত !
- চাণক্য নীতির দশম অধ্যায়ের দ্বিতীয় শ্লোকে চার ধরনের সাবধানতার কথা বলা হয়েছে।পণ্ডিত চাণক্য বলেছিলেন –
- যে সব বিষয়ে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করেন।
- তিনি যেকোনো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।
- বুদ্ধিমান মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করলে,সে উন্নতিও করতে পারবে।
নিচে চারটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে –
- যদি কাপড় দিয়ে ছেঁকে জল পান করা যায়। তাহলে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়।
- চাণক্য বলেছেন – কোথাও পা রাখার সময়ে ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত। এর ফলে চোট লাগা বা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- এছাড়াও চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে – যে মানুষ ভেবেচিন্তে কথা বলে। তাঁকে পরে কখনও অনুশোচনা করতে হয় না।
- সর্বশেষ উপায়ে বলা হয়েছে – ভেবে চিন্তে তবেই কোনও কাজ করা উচিত। আর মানে সেই কাজের ফল কী হতে পারে ?
- সেটা যদি ভেবে কাজ করেন, তাঁর উন্নতি নিশ্চিত।
- আর যে মানুষ জীবনে এই চারটি নীতি অনুসরণ করবে, তার জীবনে উন্নতি অবশ্যই হবে।
চাণক্য পন্ডিতের অমূল্য বাংলা নীতি বাণী (সেরা চাণক্য নীতি)
- কিছু কিছু মানুষ আছে, যাঁরা সারাজীবন দারিদ্র্যের মধ্যে কাটাতে বাধ্য হন। হাজার চেষ্টা করলেও এই সব মানুষেরা অর্থের মুখ দেখতে পান না।

- মানুষের ভাগ্যলক্ষ্মী কার ওপর প্রসন্ন হবেন –
- তা প্রতিটি মানুষের চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন চাণক্য।
- চাণক্য কূটনীতিতে অত্যন্ত ধুরন্ধর ছিলেন।
- তাঁর কুটনীতিশাস্ত্র বর্তমান সময়ে আজও বহু মানুষের মনে আগ্রহের সঞ্চার ঘটায়।
- মহামতি চাণক্য বলে গিয়েছেন – কে জীবন সমৃদ্ধি মধ্যে কাটাবেন আর কে অর্থের মুখ দেখতে পাবেন না,
- তা তাঁদের চরিত্রের মধ্যেই লেখা আছে।
- মহামতি চাণক্যের মতে –
- যে ব্যক্তির দাঁত পরিষ্কার নয়, সে কখনও যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ রোজগার করতে পারে না।
- মুখের পরিচ্ছন্নতার দিকে যার নজর নেই,
- ভাগ্যলক্ষ্মী তার ওপর প্রসন্ন হন না বলে দাবি করেছেন চাণক্যে।
- যে মানুষ ক্ষিদের থেকে অতিরিক্ত খাবার খান,
- তাঁর হাতে কোনওদিন অর্থ থাকে না।
- অতিরিক্ত খাবার খায় ও অতিরিক্ত খরচ করে।
- তিনি ধীরে ধীরে গরীব হয়ে যান।
- যে ব্যক্তি মিষ্ট ভাষা বলতে পারেন না –
- তার অর্থের অভাব কোনওদিন ঘুচবে না বলে জানিয়েছেন চাণক্য
- ।তাই প্রতিটি মানুষের মিষ্টি ভাষায় কথা বলা উচিত !
- তবেই ভাগ্যলক্ষ্মী তার ওপর খুশি হন।
এই তিন প্রকারের মানুষের, উপকার করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন – সেরা চাণক্য নীতি
- যে ব্যক্তি দিনের বেলা ঘুমোন, তাঁর অর্থের অভাব সারাজীবন সঙ্গী হয়ে থাকবে। — পণ্ডিত চাণক্য
- যে মানুষ অর্থ রোজগারের জন্য যিনি অবৈধ উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করেন না। তিনি কোনও দিন ধনী হতে পারেন না বলে জানিয়েছেন চাণক্য।
- যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ রোজগার করেন। তাদের হাতে অর্থ থাকবে না। — বাংলা চানক্য নীতি
চাণক্য এই চারটি বিষয়কে বিষের তুলনা করেছেন –
- ৪টি ‘বিষ’ থেকে দূরে থাকাই কাম্য, যা মানুষের জীবনে অশান্তি নিয়ে আসে।
- অনভ্যাসে বিষম্ শাস্ত্রম্’
- মানে – শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই হয় না।
- সেই জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমেই সফলতা পায়।
- শাস্ত্র পড়ে কেউ যদি তা নিয়ে অহং প্রকাশ করেন,
- তাতে ফল খারাপই হবে।
- এবং তা জীবনে বিষের সমান।
- অজীর্ণ ভোজনং বিষম –
- আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার খাওয়া দরকার।
- কিন্তু যার পেটের সমস্যা রয়েছে, তার লোভ কন্ট্রোল করা উচিত।
- তার কাছে যে কোনও ধরনের মশালাদার ও মুখরোচক খাবারই বিষের সমান।
- দরিদ্রস্য বিষম্ গোষ্ঠী –
- একজন মানুষকে তাঁর আর্থিক অবস্থা নিয়ে।
- কখনওই অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা উচিত নয়।
- তবে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে হীনমন্যতায় ভোগারও কোনও কারণ নেই।
- কিন্তু লোভ-হিংসা মানুষের জীবনে বিষই নিয়ে আসে।
- বৃদ্ধস্য তরুণী বিষম্ –
- একজন বৃদ্ধের কখনওই কোনও তরুণীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত নয়।
- এবং বেশি বয়সের ফারাকে বিয়ে তো নৈব নৈব চ।
- কারণ, বয়্স্ক স্বামী তাঁর অল্পবয়সী স্ত্রীকে অনেক ক্ষেত্রেই খুশি করতে পারেন না।
- ফলত, জীবন দুর্বিষহ হতে বেশি দিন লাগে না।
চাণক্য নীতি শাস্ত্রে – স্নানকে প্রাচীনকাল থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে !
- রাজার অভিষেকের আগে স্নান ছিল বাধ্যতামূলক।
- জীবন ধারণের জন্য স্নান এক অপরিহার্য কাজ।
- আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য স্নান একান্ত জরুরি।
- গ্রীষ্মমণ্ডলে স্নানহীন দিন মানে এক যন্ত্রণা।
- প্রাচীন কালে স্নানকে অনেক সময়েই আনুষ্ঠানিক মর্যাদাও প্রদান করা হত।
- বর্তমান সময়ে আজও বিবাহের আগে বিশেষ স্নান চলিত রয়েছে গোটা দেশেই।
স্নান করা অবশ্যক কয়েকটি কাজের পরে উল্লেখ করে চাণক্য নীতি
- দাহকার্যের পরে স্নান অবশ্যক কর্তব্য, কেবল দাহকারী নয়। শ্মশানে উপস্থিত সবারই উচিত দাহশেষে স্নান করা। মৃতদেহ থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ বা জীবাণু নিরোধের জন্যই এই নিয়ম।
- দেহ সঙ্গমের পরে স্নান জরুরি। এই নিয়ম ইসলামও কঠোর ভাবে দিয়ে থাকে। এখানেও সংক্রমণকে মাথায় রাখা হয়।
- তেল মালিশ পরে স্নান একান্ত প্রয়োজন। কারণ, ত্বকের পুষ্টির জন্য তেল যেমন জরুরি। তেমনই খুব বেশি সময় তেল শরীরে থাকলে তা বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।
- চুল কাটার পর স্নানকে অবশ্য বিধেয় বলেছে চাণক্য নীতি। গায়ে পড়ে থাকা চুলকে না ধুয়ে ফেললে তা অনেক সময়েই বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- সেরা চাণক্য নীতি, (Better Excellent Chanakya Niti In Bengali) গুলি ভালো লাগলে।
- আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
- Covid- 19
- Election
- Good Morning
- Good Night Wishes
- Happy Holi
- Happy New Year
- Jante Hobe – জানতে হবে
- Job
- Romantic
- Top 10
- Uncategorized
- অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি
- উৎসব
- ঔষধি গাছের উপকারিতা
- খবর
- খাবার
- গুরুত্বপূর্ণ দিবস
- চাণক্যনীতি
- জীবনের গল্প
- ফলের উপকারিতা,Best Benefits of Fruits
- বাণী সমগ্র
- বাংলা কুইজ
- বিখ্যাত উক্তি ও বাণী
- মনীষীদের বাণী ও উক্তি, Bikhato Monishider Ukti
- মোটিভেশনাল
- শরীর স্বাস্থ্য
- শরীর স্বাস্থ্য ও খাবার
- শুভেচ্ছা বার্তা
- হাসির জোকস