যেহেতু ডালিমের উপকারিতা অনেক; তাই, কম বেশি উপকারিতা সমন্ধে জেনে রাখা ভালো –
আমাদের দেশে আম, জাম, কাঁঠালের মতো – ডালিম বা বেদনা আমরা সবাই চিনি ও জানি। ডালিমের আমাদের ছোট বড় সবারই পছন্দের ফল,খেতেও সুস্বাদু। আমাদের দেশে এই ফল কম বেশি সব জাগায় পাওয়া যায়।
এই ফল স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ফল হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। ”ডালিমের উপকারিতা ও গুনাগুণ ”প্রচুর পরিমানে রয়েছে। ডালিম বা বেদনা রোগীদের উপকারী ফল হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ডালিমের উপকারিতা ও গুনাগুন সমন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো। যেহেতু এই ফলের বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে। কম বেশি কিছু উপকারিতা সমন্ধে জেনে রাখা ভালো।
এছাড়াও এই সাইটে আরও অনেক রকমের ফলের উপকারিতা সমন্ধে দেওয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে অন্য ফলের সমন্ধে জানতে পারেন। যেমন – আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, পেয়ারা সমন্ধে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে এই আর্টিকলে গুলি দেখতে পারেন।
ডালিমের ছবি |
ডালিমের উপকারিতা
ডালিম মেধা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
মুখ পরিষ্কার করে,হার্ট ও লিভার সবল রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য
যদি প্রতিদিন একটা করে ডালিম খাওয়া যায়। তবে শরীরের ১৭% ভিটামিন সি কাজ করে।
ডালিমের রস ত্বক ও ত্বকের কোষকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডালিম খেলে শরীরে কোলাজেন ও এলাস্টিন উৎপাদনে সাহায্য করে।
এই দুই উপাদান ত্বককে সাজীৰ ও তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
ডালিমের রস ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা
যারা অনিদ্রা বা অল্প নিদ্রায় ভোগেন ,
ডালিমের রসের সাথে এলোভেরার শাঁস মিশিয়ে ২ থেকে ৫ দিন খেলে ভালো ফল পাবেন।
ক্যান্সারের সেল
ডালিমের রস ক্যান্সারের সেল তৈরি করতে দেয় না।
বিশেষ করে মূত্র নালীর ক্যান্সারের দমনে কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগীদের ডালিম খাওয়ার কোনো মানা নেই।
কারন ডালিমের মধ্যে ডায়েট্রি ফাইবার রয়েছে ,যা রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ত্রনে রাখে।
কোলেস্টরল
ডালিম রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় ,
যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম করে।
ডালিম শরীরের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রক্ত বৃদ্ধি
নিয়মিত ডালিম খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায়,ডালিম রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। এছাড়াও আয়রন,ক্যালসিয়াম ফাইবার সমৃদ্ধ থাকায়। দেহের রক্ত সঞ্চালন সচল রাখতে সাহায্য করে।
পেটের জন্য
ডালিম হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
সাথে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
পেটের যে কোনো সমস্যার জন্য ডালিম বিশেষ উপকারী।
রক্তপাত বন্ধ করতে
রক্তপাত বন্ধ করতে ডালিমের ফুল অত্যন্ত কার্য্যকরী।
হঠাৎ করে যে কোনো সময় -শরীরে কোথাও কেঁটে গেলে ও থেঁতলে গেলে।
ডালিমের ফুল কাঁচলিয়ে ক্ষত স্থানে চেপে ধরলে রক্ত পড়া বাঁধ হয়।
যদি ডালিমের ফুল না পাওয়া যায় – তাহলে ডালিমের পাতাও ভালো কাজ করে।
আমাশয়
আমাশয়ে ডালিমের খোঁসা ভালো কাজ করে।
এ জন্য ডালিমের খোসা ভালো করে শুকিয়ে রাখতে হবে।
আমাশা হলে শুকনো ডালিমের খোসা সেদ্ধ করে জল পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তাই এখন থেকে ডালিমের খোঁসা ফেলে না দিয়ে -ভালো করে শুকিয়ে রাখুন।
রক্তচাপ
ডালিম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ,
যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন -তাহলে মোটামুটি দুই সপ্তাহ ডালিম খেলে।
দুই মধ্যেই রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সর্দি -কাঁশিতে
সর্দি কাঁশি থেকে বাঁচতে ডালিমের রস ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করতে পারি।
ডালিমের মধ্যে রয়েছে -পটাসিয়াম ও ফাইবার যা ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
দাঁত ও মুখের রোগ
ডালিম দাঁত ও মুখের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডালিমের রসে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ জন্য ডালিমের উপকারিতা গুনাগুণ
ডালিম ভাইরাস প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
সাধারণ সর্দিকাশি ,শ্বাস কষ্ট ও বাতের ব্যাথা দূর করতে ভালো কাজ করে।
ডালিমের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সুস্থ থাকার জন্য বা ভালো পারফর্মেন্স করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়।
শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি ডালিম খেলেও শরীরের কার্য্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডালিমের উপকারিতা ও গুনাগুন সমন্ধে জেনে ভালো লাগলে অবশ্যই। আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সদাসর্বদা আমার বাংলার সাথে থাকুন।
ডালিমের এত কিছু গুণ সত্যিই কি আছে…
After all, what a great site and informative posts, I will upload inbound link – bookmark this web site? Regards, Reader.