জামের যত উপকারিতা,Best Benefits Of Berries

Best Benefits Of Berries

  • জাম আমরা সবাই জানি ও চিনি। কিন্তু হয়তো আমরা সবাই জামের যত উপকারিতা সমন্ধে জানি না।
  • তাই – জামের যত উপকারিতা সমন্ধে সংক্ষিপ্ত কিছু উপকারিতা ধরা হয়েছে। 
  • আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে জাম অন্যতম।
  • আমাদের দেশে যত দেশি ফল রয়েছে তার মধ্যে, জাম আমাদের সকলের প্রিয় ফল।
  • কালাজাম স্বাদে ও গন্ধে সব ফল থেকে আলাদা, এই ফল।
 
 
  • রসালো টক-মিষ্টির জামের স্বাদে।  গ্রীষ্ম কালের এই ফল গরমে থেকে, সকলের প্রাণ জুড়ায়।
  • সব রকমের দেশি ফলের মতোই, জামেরও মধ্যেও অসংখ্য পুষ্টিগুণ রয়েছে।
  • এই ফল আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 
  • এই ফল এশিয়া মহাদেশের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়।
  • বিশেষ করে ভারত,বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কায় প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। 
 
 
  • জামের ইংরেজি নাম হলো – Jambul, Malabar Plum, Jamun নামে পরিচিত।
  • জাম ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হয়। আধা পাকার সময় গোলাপি রঙের হয়।
  • আর যখন পাকে তখন কালচে গোলাপি রঙের হয়।
  • এই জাম ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান রয়েছে।
  • যা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।
 
 
  • জামের ফলের কথা মনে হলে -আমাদের অনেক রকম কথা মনে হয়।
  • যেমন – জাম খেলে আমাদের কি কি উপকার হয় ? জামের বীজের কি কোনো উপকারিতা আছে ?  
  • জাম গাছ আমাদের কি উপকারে লাগে। জামের পাতার কি কোনো উপকার আছে ? 
  • এই কাঠ যে অনেক শক্ত ও ফার্নিচারের কাজে লাগে,এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি।
  • সংক্ষেপে জামের যত উপকারিতা ও জাম পাতার গুনাগুন সমন্ধে জানবো। 

Best Benefits Of Berries (জামের যত গুণ)

জামের যত উপকারিতা,Best Benefits Of Berries
জামের যত উপকারিতা
জামের ছবি

প্রাকৃতিক কীটনাশক

  • জাম পাতা শস্যক্ষেত্রে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।
  • প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে জাম পাতা পিষে ১:৪ অনুপাতে মিশিয়ে,মিশ্রণ তৈরি করে তা পাতা ও ফলের পরিশোধনে ব্যবহার করা যায়।

রক্ত পরিষ্কার করে 

  • জামে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে এবং এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
  • এটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তস্বল্পতার সমাধানে সাহায্য করে।
  • যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য এই জাম ফল খুবই উপকারী। 

সাদা ও রক্ত আমাশয় 

  • জামের কচি পাতার রস চা চামচের ২-৩  চামচ, ভালো করে ছেঁকে হালকা গরম করে ৩-৪ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়। 

মানুষকে উদ্দীপ্ত ও সতেজ রাখে

  • এই কালোজামের মধ্যে রয়েছে – গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং ডেক্সটোজ। 
  • যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং কাজ করার শক্তি জোগায়।
  • এছাড়া বয়সজনিত ও স্মৃতিনাশ থেকে মানুষকে দূরে  এবং সুস্থ রাখে।

জামের যত পুষ্টিগুণ

  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় :-বহুকাল থেকেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জামের ব্যবহার হয়ে আসছে।
  • একটি গবেষণায় দেখা গেছে জামের বীজ  রক্তের সুগার লেভেল ৩০% পর্যন্ত কমায় এবং জাম নিয়মিত সেবন ডায়াবেটিস থেকে মানুষকে দূরে রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

  • জামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে। এছাড়া জাম ভিটামিন সি এর একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের ইনফেকশন ও বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে দূরে রাখে।
 

 হার্টের অসুখ দূর করে

  • জামে এলজিক এসিড, এন্থোসায়ানিন এবং এন্থোসায়ানিডিন্স আছে, 
  • যা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীর থেকে বাজে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
  • এছাড়া জামে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আছে যা হাইপারটেনশন দূর করে হৃদযন্ত্রের উপর থেকে চাপ কমায়।

হজমে সাহায্য করে

  • পেটের হজমের জন্য, জামের পাতা ডায়রিয়া ও আলসার চিকিৎসায় বহুকাল আগে থেকেই।
  • ভেষজ বিজ্ঞানে ব্যবহার হচ্ছে  আসছে। 
  • এছাড়াও জামের পাতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
 
  • এছাড়াও জামের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
  • তাই আমাদের দেশের দেশি মৌসুমি ফলকে, অবহেলা না করে।
  • এই জাম ফলকে নিয়মিত খান। এই ফলকে খালি মুখে অথবা লঙ্কা -লবণ দিয়ে মিশিয়ে। 
  • যেভাবেই হোক মেখে খান, এই ফলের টক – ঝাল -মিষ্টি স্বাদের সাথে সাথে।
  • অনেক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। 
 
 
সতর্কতা 
  • জাম ফল  খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ – খালি পেটে কোনো সময় জাম খাবেন না।
  • জাম খাওয়ার পর দুধ খাওয়া উচিত না।
  • আধা পাঁকা জাম কোনো সময় খাওয়া উচিত না।
  • অতিরিক্ত জাম কোনো সময় খাওয়া উচিত না,এতে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
  • জাম ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্টরয়েছে।  
  • যা মানুষের শরীরের ক্যান্সার সেল গড়ে উঠতে বাঁধা দেয়।
  • এছাড়া জামের রস, আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সৃষ্টি করতে বাঁধা দেয়। 
 
  • এছাড়াও জামের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
  • তাই আমাদের দেশের দেশি মৌসুমি ফলকে, অবহেলা না করে।
  • এই জাম ফলকে নিয়মিত খান। এই ফলকে খালি মুখে অথবা লঙ্কা -লবণ দিয়ে মিশিয়ে।
  • যেভাবেই হোক মেখে খান, এই ফলের টক – ঝাল -মিষ্টি স্বাদের সাথে সাথে।
  • অনেক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। 
 
 
 
 
জামের যত উপকারিতা সমন্ধে কিছু জেনে উপকৃত মনে হলে। আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। অন্যান্য বিভিন্ন ফলের উপকারিতা ও গুনাগুণ জানতে আমার বাংলার সাথে থাকুন। ধন্যবাদ 🙏🙏🙏
ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

2 thoughts on “জামের যত উপকারিতা,Best Benefits Of Berries”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top