খেজুরের উপকারিতা

খেজুরের উপকারিতা  গুনাগুন

  • খেজুর আমাদের দেশের খুব বেশি পরিমাণে উৎপন্ন না হলেও,
  • এই ফলটির সাথে আমরা খুবই পরিচিত ও খেজুরের উপকারিতা সমন্ধে অনেকেই জানি।
  • আর যদি জানা না থাকে, এই আর্টিকলে থেকে জানতে পারবেন।  
  • এই ফল প্রধানত সৌদিআরব, ইরাক, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বেশি উৎপাদিত হয়।
  • এছাড়াও আমাদের এশিয়া মহাদেশেরমধ্যে -পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ খুবই সামান্য পরিমাণে হয়। 
 
 
বিশ্ব জুড়ে এই ফলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই ফলের মধ্যে পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়াও ধর্মীয় দিকের তাগিদও রয়েছে এই খেজুর ফলের।
 

উপকারিতা ও অপকারিতা 

 
খেজুরের পুষ্টিগুণ
 
  • খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে।
  • এছাড়াও খেজুর ফলের মধ্যে বিভিন্ন রকমের খনিজ উপাদান রয়েছে।
  • যা মানুষের শরীরের, সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।
  • এই খেজুর ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। 
 
এই ফলের মধ্যে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, সহ আরও অন্যান্য ভিটামিনও রয়েছে।
 খাদ্য গুনের মধ্যে রয়েছে, ক্যালরি যা প্রতিদিনের চাহিদা পূরন করতে সাহায্য করে। আসুন খেজুরের  উপকারিতা, অপকারিতা ও খেজুরের পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ সমন্ধে জেনে নেই।
 

খেজুরের উপকারিতা কী?

খেজুরের উপকারিতা গুনাগুন
খেজুরের ছবি 

প্রোটিন

 
এই খেজুর ফলের মধ্যে যে প্রোটিন উপাদান রয়েছে। তা মানুষের পেশী গঠনে জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
 
ভিটামিন 
 
  • এই খেজুর ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
  • বিশেষ করে ভিটামিন  b1 b2 b3 এবং b5 এছাড়াও ভিটামিন A C রয়েছে। 
  • এই সব ভিটামিন চাহিদা পূরণের জন্য,সহজ উপায় হচ্ছে, খেজুর খাওয়া।
  • এই ফল নিয়মিত খেলে যেমন – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • তেমনি চোখের  দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। 
 
আয়রন
 
আয়রন মানুষের শরীরের জন্য, খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ  উপাদান। যেটা বিশেষ করে, নারীদের দেহের  আয়রনের চাহিদা, পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি করে। 
 
 
মানুষের শরীরে আয়রনের অভাবে জন্য রক্তশুন্যতা দেখা দেয়। তাই আয়রনের অভাব পূরণ করার জন্য খেজুরের তুলনা হয় না। এছাড়াও হৃদপিন্ডের  কার্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
 
 
যে মানুষের হৃদপিণ্ড দুর্বল, সে মানুষের জন্য – খেজুর একটি আদর্শ খাদ্য হতে পারে। শারীরিক সমস্যা সমাধানে, খেজুরের উপকারিতা ও রোগ প্রতিরোধে প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করে। কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
 
কোলেস্টরেল এবং ফ্যাট
 
খেজুর ফলের মধ্যে কোন বাড়তি চর্বি বা কোলেষ্টরেল থাকে না। তাই খেজুর খেলে, আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
 
ক্যালসিয়াম 
 
  • খেজুর ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
  • যা মানুষের দেহে হাড় গঠনে জন্য সাহায্য করে। খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য,
  • এই ফল শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।
  • এছাড়াও দাঁতের মারি গঠনে জন্য সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুকে খেজুর খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন।
 
ফাইবার 
 
খেজুরের ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার নামক উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে ফাইবার নামক উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। 
 
 

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কী? 

খেজুর এমন একটি ফল, যা মানুষের শারীরিক সমস্যা সমাধানে খেজুরের উপকারিতা বলাবাহুল্য।নিচে এক এক করে খেজুরের উপকারিতা এবং স্বাস্থ্য গুনাগুন সম্পর্কে জানুন, যা সবারই জেনে রাখা ভালো। 
 
 
১।  খেজুর আমাদের শরীরের পানির শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে ।
 
২। খেজুর ফল মানুষের শরীরের  সোডিয়াম ও  পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। 
 
৩। আগেই বলা হয়েছে খেজুরের মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে, যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
 
৪। নিয়মিত খেজুর খেলে, হৃৎপিন্ড শক্তিশালী হয়ে উঠে।
 
৫। খেজুর ফল শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। এই ফলের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই শর্করা থাকে। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয়। এই খেজুর ফলকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়। 
 
৬। খেজুর ফলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের মধ্যে, সেরোটোনিন নামক উপাদান মানুষের দেহে হরমোন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যা মানুষের মানসিক প্রফুলতা দেয় যা মানুষের মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
 
 
৭। খেজুর ফলে  থাকা ফাইবার, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।  তবে মনে রাখতে হবে, খেজুর খাওয়ার সাথে প্রচুর জল পান করতে হবে।  তবেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
 
 
৮। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্ষুধামন্দা বা অরুচি দূর করতে সাহায্য করে।
 
৯। খেজুরের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি মানুষের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
 
১০। খেজুরের মধ্যে  থাকা ফাইবার উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধে হিসাবে কাজ করে।
 
 ১১। খেজুরের মধ্যে থাকা ডায়েটরি ফাইবার উপাদান কলেস্টরেল এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
 
১২। খেজুরের মধ্যে থাকা এই উপাদান গুলি – স্যলুবল, ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড। যা আমাদের পেটের খাবার হজমে সাহায্য করে। যদি বদ হজম থেকে বাচতে চান, তবে এজন্য খেজুর খুবই উপকারী।
 
 ১৩। বিশেষ করে খেজুর, তারুণ্য এবং যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খেজুর ফল যৌবনের জন্য কতটা উপযোগী পরে এবিষয়ে আলোচনা করা হবে।  
 
 ১৪। খেজুরের মধ্যে আয়রণ থাকে। আর আয়রন আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। 
 
 

খেজুরের ঔষধি গুণাগুণ

 
  • আগেই বলেছি খেজুর আমাদের শরীরের, বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
  • বিশেষ করে যকৃতের সংক্রমণ এবং সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। 
  • এছাড়াও  বদহজম, উচ্চরক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সমস্যায় খেজুর খুবই উপকারী।
অপকারিতা বা সতর্কতা
 
অপকারিতা ও সতর্কতা শুনে একটু আজব লাগলেও,কথাটা খুবই বাস্তব। আমরা জানি খেজুরের অসংখ্য উপকারিতা আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার জন্য সতর্ক হওয়া উচিত।
 
বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন। এছাড়াও যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি আছে। তারা খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
 
 
খেজুরের উপকারিতা গুনাগুন বা খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সমন্ধে, ভালো  লাগলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, নিয়মিত খেজুর খান সুস্থ্য থাকুন।
 
 
 
ধন্যবাদ 🙏🙏🙏💛

 

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

1 thought on “খেজুরের উপকারিতা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top