মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা

মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা – বর্তমান সময়ে বলা হয় মেয়ে ও ছেলে সমান সমান কিন্তু বাস্তবে – মেয়েরা এখনো নির্যাতিত হয় পুরুষদের কাছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আচরণ সহ স্বভাব ও চলাফেরার মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে।  তারা এখনো স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে ব্যর্থ। 
বর্তমানেও বিভিন্ন নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে, জীবন যাপন করে থাকেন মেয়েরা।

আজকে মেয়েদের জীবন সম্পর্কে কিছু বাস্তব কথা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা মেয়েদের সম্পর্কে বাস্তব এই কথাগুলো জানতে চান তাহলে – অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন। 

মেয়েদের সম্পর্কে কিছু বাস্তব কথা ছোট ছোট বাক্য তুলে ধরা হয়েছে। 
একটা মেয়ে বিয়ের আগে সংসার জীবন নিয়ে যেমনটা কল্পনা করে, 
বাস্তবে তা খুব কমই আশানুরূপ হয়া বাস্তবতা বড়ই কঠিন !

স্ট্যাটাস মেয়েদের মনের কষ্টের কথা / মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা

অপ্রিয় হলেও সত্য এটাই যে – 
একজন স্ত্রীকে সংসারের সব কাজ করার পরেও !
তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। 
কিন্তু অন্য দিকে একজন পুরুষকে, 
তার শ্বশুরবাড়ির কেউ কিছু বললে !
সে শ্বশুরবাড়ি যাওয়াই বন্ধ করে দেয়।

একটা মেয়ে সবসময় অসহায় !
কখনো তার পরিবারের কাছে, কখনো তার ইচ্ছার কাছে !
কখনো তার স্বপ্নের কাছে, কখনো তার ভালোবাসার কাছে !

একটা মেয়ে – 
তার জীবনের প্রত্যেকটা সময় বেঁচে থাকে অন্যের জন্য।
জন্মের পর বাবা মায়ের জন্য..
বিয়ের পর স্বামীর জন্য..
সন্তান হবার পর সন্তানের জন্য,
আসলে মেয়েদের জীবনে নিজের জন্য
কোনো চাওয়া পাওয়া থাকে না।

মেয়েদের জীবনটা হল – একটা মোমবাতির মতো।
অপরকে আলোকিত করতে গিয়ে, 
নিজে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। 
তবুও সেই দহনের ব্যথা কেউ বোঝে না !

Reality life বাস্তব কথা নিয়ে স্ট্যাটাস

বাবা মায়ের সেই আদরের মেয়েটি – 
আজ সংসার করছে, এক গ্লাস জল ভরে যে খায়নি। 
সে আজ সবাই কে রান্না করে খাওয়াচ্ছে, কপালের টিপটা যে ঠিক করে পড়তে পারত না। 
সে আজ গুছিয়ে সংসার করছে, পার্থক্য শুধু একটাই !
আগে একটু কষ্ট হলেই মায়ের কোলে কাঁদত, 
এখন সে বালিশে মুখ লুকিয়ে নীরবে কাঁদে !

মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা, মেয়েদের জীবনের কষ্টের কথা, মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা
মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা

একটা মেয়েকে শুধু একটা ঘর দাও, সে সংসার করে দেবে। 
শুকনো চাল দাও, খাওয়ার ভাত করে দেবে। 
আর একটু ভালোবাসা দিও, তোমার জীবনটা সুখে ভরিয়ে দেবে। 
একটা মেয়ের থেকে এর থেকে বেশি আরো তুমি কি চাও ?

বাবা মায়ের চোখে হারানো সেই ছোট্ট মেয়েটা, 
আজ সংসার করছে, 
যাকে নিজের বাড়িতে কোনোদিন এক গ্লাস জল ভরে খেতে হয় নি !
সে বাড়ির সব কাজ আজ নিজে সামলাচ্ছে, 
কথায় কথায় মার কোলে মাথা দিয়ে কাঁদা মেয়েটা, 
আজ সহ্য করে শিখে গেছে, এটাই হয়তো জীবন, 
আর এরই নাম সংসার !!!

এক কথায় – মেয়েদের দায়িত্ব শেখাতে হয় না,
নিজে ডিম ভাজি করতে না পারা মেয়েটাও, 
মা অসুস্থ হয়ে পরলে,
পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখে।

মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা/ মেয়েদের জীবনের কষ্ট

প্রথম নিঃশ্বাসটা শুরু হয় বাবার বাড়িতে – 
আর শেষ নিঃশ্বাসটা ফেলতে হয় স্বামীর বাড়িতে,
কি অদ্ভুত জীবন মেয়েদের !

তুমি নারী,তাই হাপিয়ে গেলেও থামা যাবে না !
👉 কারণ তুমি নারী
মাঝপথে কারো হাত ছাড়া যাবে না
👉 কারণ তুমি নারী
সমাজে কোন নিয়ম ভাঙ্গা যাবে না
👉 কারণ তুমি নারী
কষ্ট হলেও কাজ করতে হবে
👉 কারণ তুমি নারী
নিজের ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হবে
👉 কারণ তুমি নারী

মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়া সহজ – 
কিন্তু মেয়ে হয়ে বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের। 
হাসতে গেলেও ভাবতে হয়, কাদঁতে গেলেও ভাবতে হয় ৷

বাপের প্রিয় অতিথি –
জন্ম থেকেই বাপের ঘরে। 
প্রিয় রাজকুমারী, সেই মেয়েটাই সুখের খোঁজে ছাড়বে বাপের বাড়ি।
যাদের জন্য দেখল চোখে এই পৃথিবীর আলো, 
তাদের ছেড়েই রাজকুমারী থাকে অতি ভালো।

সারা জীবন মেয়ে থাকে বাবার রাজকুমারী, 
সেই মেয়েটাই একদিন হবে বাপের,প্রিয় অতিথি।
ইচ্ছে হলেও দেখতে পায় না নিজের বাবাটাকে, 
চোখের দেখা দেখতে হলেও পরের অনুমতি লাগে।

যে বাড়িতে জন্ম হল –
গড়ল সুখের জীবন !
সেই বাড়িতেই বেড়াতে যায় দু-চারদিনের কারণ।
এটাই হলো বাস্তবতা মেয়েদের জীবন !

মেয়েদের জীবনের কষ্টের কথা / মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা

মেয়েদের জীবন – 
বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে দেওয়ার পর !
যদি সংসার ভেঙ্গে যায় কী করবি বল তোর ভাগ্যই খারাপ। 
 নিজের পছন্দমত বিয়ে করার পর !
সংসার ভাঙলে নিজে বেশি বুঝে গেছিল, ঠিক হয়েছে। 
আমাদের সমাজটা এরকমই। 
তাই নিজের মত করে বাঁচো। 
সমাজ তোমার চোখের জলের ভাগ নেবেনা কোনও দিনই ।

বাবা বলতেন…
আমার মেয়ের হাসির শব্দে আমার বাড়িটা ঝলমল করে ওঠে !
আজ শ্বশুর বলেন…
কথায় কথায় এতো হাসবে না লোকে কি বলবে ?

বিয়ের পর নিজের বাড়িও বাপের বাড়ি হয়ে যায়, 
নেইগো কোনো অধিকার !
স্বামীর বাড়িও নিজের বাড়ি নয়, হয়ে যায় শ্বশুর বাড়ি !
নেইগো কোনো অধিকার !
‘মেয়ে’ তুই একটা ভুল কর, শাসনের দিক দিয়ে সবাই এগিয়ে আসবে,
দেবে না কেউ তোমার অধিকার !

Read More – ছেলেদের কষ্টের কথা

প্রতিটা মেয়েকে তার সংসারে টিকে থাকার জন্য – 
প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যেতে হয়, 
না হয় পরিবারের সাথে, না হয় নিজের সাথে !
আর প্রতিটা যুদ্ধ তাকে বুঝিয়ে দেয় ‘মেনে নাও’, ‘মানিয়ে নাও”
এভাবে মেনে নিতে নিতে –
এক সময় সে নিজেই টিকে যায়, শুধু টিকে যাওয়ার আড়ালে !
তার ভাঙা গড়া গল্পটা কারোর জানা হয়ে ওঠেনা।

নারীর বুক ভাঙ্গা বোবা কান্নার শুরু হয়, 
বিয়ে নামে এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে, 
যার সমাপ্তি ঘটে নিজের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে।

আরও পড়ুন 👉 সুন্দর সুন্দর নীতি বাক্য

নিজের প্রিয়জনদের ছেড়ে আসা, 
স্বামী ও শশুড়বাড়ির লোকজনের অভিযোগের পাহাড় বওয়া, 
সন্তানদের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখা,
আর পরিশেষে তার উপাধি, 
সারাদিন কি করো তুমি ?

জীবন সম্পর্কে কিছু কথা / স্ট্যাটাস মেয়েদের মনের কষ্টের কথা

কাকে নিজের কষ্টের কথা বলবেন ?
স্বামী কে ? সে বলবে, পরে শুনবো।
সন্তান কে ? তারা বলবে, ব্যস্ত আছি ৷
বাবা মা কে ? তারা বলবে, সহ্য করো ৷
আত্মীয় দের ? তারা বলবে, দোষটা তোরই।
বন্ধু দের ? তারা বলবে, বাদ দে ৷
সমাজ কে ? তারা বলবে, মুখ বন্ধ রাখো। 
সত্যি ই বোঝার লোকের বড়ই অভাব !!! – মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা

ছেলেরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে – 
দুদিনও ঠিকমতো থাকতে পারে না। 
কিন্তু মেয়েরা বাবা-মা, ভাই-বোন,
সকলকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে –
সারাজীবন কাটিয়ে দেয়। 
সত্যিই মেয়েদের জীবনটা বড়ই অদ্ভুদ !!

আমরা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি এসে, 
শ্বশুর বাড়িকে আমরা নিজের বাড়ি মনে করি !
কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, 
আমাদের পরের বাড়ির মেয়েই মনে করে।

মেয়েরা বেশির ভাগ সময়ে কাদে – 
কখনো কারণে তো কখনো অকারণে।  
কখনো নিজের জন্য 
তো কখনো প্রিয় মানুষগুলোর জন্য 
আবার কখনো নিজের আসল বাড়িটা, খুঁজে না পাওয়ার জন্য !! -মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা

মেয়েদের জীবনে – 
স্বামী হলো জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মতো; 
ভালো হলে তো ভালোই, আর ভেজাল হলে জীবন শেষ।

মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা

সংসারে অভাব মেনে নেওয়া যায়। 
কিন্তু জীবনসঙ্গীর অবহেলা, 
অনাদর ও দুর্ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না।

মেয়েরা চাকরি না করলে, আরামে খেয়ে মোটা হচ্ছে। 
চাকরি করে রাতে বাড়ি ফিরলে,দুশ্চরিত্রা। 
প্রেম না করলে,অহংকারী 
প্রেম করলে,পাড়ার লোকের শত কথা। 
প্রতিবাদ না করলে – নিশ্চয় মেয়েটার দোষ ছিলো। 
প্রতিবাদ করে আইনি পদক্ষেপ নিলে, 
মেয়েরা টাকার জোরে মিথ্যে মামলা করে !
মেয়েরা তবে কোথায় যাবে ?

মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা, মেয়েদের জীবনের কষ্টের কথা, মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা
মেয়েদের জীবনের কষ্টের কথা
মেয়েদের জীবন নিয়ে কিছু কথা / Heart Touching Motivational Quotes in Bangla 

পাগলী টাইপের মেয়েদের বৈশিষ্ট্য ‘- 
 👉 অল্পতেই মাথা গরম !
এরা খুব ঘুম পছন্দ করে,
 👉 অল্পতেই সবাইকে বিশ্বাস করে ফেলে। 
এরা মুখের উপর সত্যি কথা বলার সাহস রাখে,
এরা রাগের মাথায় উল্টোপাল্টা বলে ফেলে –
 👉 এরা অল্পতেই কেঁদে ফেলে,
এরা প্রকৃত ভালোবাসতে জানে।

কন্যা সন্তান পেতে গেলে, 
ভাগ্য করে জন্মাতে হয় !
কারণ কন্যা সন্তান ঈশ্বরের দান !
যা সবার হয় না !

পুরুষ হল পরিবারের মাথা 
আর নারী হল তার মেরুদন্ড 
মেরুদন্ড ছাড়া মাথা কখনোই সোজা থাকে না। 
তাই নারীদের সম্মান করো !

Read More – পবিত্র কোরআনের উপদেশ বাণী

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

11 thoughts on “মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা”

  1. I like what you guys are up too. Such clever work and reporting! Keep up the superb works guys I have incorporated you guys to my blogroll. I think it will improve the value of my website 🙂

  2. Fantastic goods from you, man. I’ve understand your stuff previous to and you’re just extremely magnificent. I really like what you have acquired here, certainly like what you are stating and the way in which you say it. You make it enjoyable and you still care for to keep it wise. I can not wait to read far more from you. This is actually a terrific web site.

  3. obviously like your website but you need to take a look at the spelling on several of your posts. A number of them are rife with spelling problems and I in finding it very troublesome to tell the reality nevertheless I¦ll surely come again again.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top