Chanakya Niti kotha bangla
সেরা চাণক্য নীতি বাংলায়(Best Quotes In Bengali) আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোন সময়ে, ভেবেই হোক বা না ভেবেই হোক, ভুল করে হলেও সমাজের স্বার্থপর, লোভী, খারাপ মানুষদের সাথে,বা তাদের বাইরের রূপ অথবা ব্যবহার দেখে বন্ধুত্ব করে ফেলি।
কিন্তু আমাদের ভুল তখন ভাঙ্গে, যখন তারা আমাদের ক্ষতি করে। আমাদের বোকা বানিয়ে চলে যায়। এটা যদি আগে বোঝা যেতো বা জানা যেতো, তাহলে হয়তো আমাদের অনেক ক্ষতি বা কষ্ট কম হতো। এজন্য বেশি চিন্তা করার কিছু নেই, এজন্য যদি চাণক্য নীতি বাণী বা বিখ্যাত মনীষীদের বাণী বা উক্তি পড়া বা জানা প্রয়োজন।
উপদেশ নীতি বাণীতে মহামতি চাণক্য এমন কিছু নীতি বা পদ্ধতি বলে গেছেন। সেই নীতি বা বাণী গুলি নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করে, অতি সহজেই সমস্যার সমাধান করতে পারি।
যদি আমরা চাণক্য নীতি কথা ব্যবহার করলে, সেই সমস্ত মুখোশধারী মানুষ গুলোকে খুব সহজেই চিনতে পারবো এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। যদি আমরা মুখোশধারী মানুষদের চিনতে পারি, তাহলে আমাদের কেউ ঠকাতে পারবে না।
আপনি যদি কোন জায়গায় বা কোন কাজে না ঠকতে চান। অথবা অজানা শত্রূ যেন আমাদের অজান্তে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আচার্য চাণক্য নীতি ভালো করে পড়তে হবে।
চানক্য নীতি বাণী বা জ্ঞান বর্তমান সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। কম বেশী আমরা সকলেই আচার্য চাণক্যর কথা জানি।
আচার্য চানক্য অনেক শাস্ত্রে পন্ডিত ছিলেন। তার পাণ্ডিত্যের এবং ক্ষুরধার বুদ্ধির জন্য চন্দ্র গুপ্ত মৌর্য একজন সাধারন নাগরিক থেকে মগধের সিংহাসনে বসেন। এর পিছনে পণ্ডিত চাণক্য ক্ষুরধার বুদ্ধি ছিল। তাই আমরা সকলেই চাণক্য নীতি জানতে চাই
আচার্য চানক্যর অনেক গুলি লেখা শাস্ত্রের মধ্যে – একটি হলো সমুদ্রশাস্ত্র বা সমুদ্র নীতি। শোনা যায়, আচার্য চানক্য এমন একজন বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন যে, তিনি রাস্তায় চলতে চলতে বা সামনের কারো সাথে কথা বলতে বলতে, সেই মানুষটির মনে কি চলছে।
চাণক্য নীতি
সেই মানুষটি কি ভাবছে, সে সমস্ত কথা বুঝেতে পারতেন। এছাড়াও অন্য যেকোনো ব্যাক্তি ধোকাবাজ না জ্ঞানী। সেটাও বলে দিতে পারতেন।
আচার্য্য চানক্যর নীতিগুলি একবার পড়লে। আমরাও আচার্য চাণক্যে নীতি গুলি ব্যবহার করে, যেকোনো মানুষের আসল চেহারার অনুমান লাগাতে পারি।
তাই জীবনে একবার হলেও – চাণক্য নীতিশাস্ত্র থেকে প্রথমে জানতে হবে। আমাদের চারপাশে মুখোশধারী মানুষ গুলো কিরকম হয়..?
আচার্য চাণক্য নীতি কথা লেখা থেকে, ছয় প্রকার মানুষের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত মানুষের থেকে আমাদের সব সময় দূরে রাখা উচিত।
আমরা এই সমস্ত মানুষদের কিভাবে চিনতে পারব ? এই কৌশল গুলি জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই আমরা যেকোনো মানুষের আসল রূপ কয়েক সেকেন্ডে কিভাবে চিনে ফেলতে পারব ?
চাণক্য নীতি কথা বাংলায় – মানুষের সমন্ধে চাণক্য নীতিতে, চানক্য বলেছেন।
- সোনা কতটা খাঁটি তা বোঝার জন্য, যেমন সোনা ঘষে, পুড়িয়ে, গরম করে বা পিটিয়ে,এমন কি কেটেও দেখতে হয়। ঠিক তেমনি একজন মানুষের আসল চেহারা, সে কতটা সৎ
- পণ্ডিত চাণক্যের মতে, একজন বন্ধুর পরিচয় তখনই হয়। যখন আমাদের জীবনে কোন বড় সমস্যা আসবে । যখন আমরা কোন বড়ো সমস্যায় পড়ি ।
কারণ – যে সত্যিকারের বন্ধু হয়, সে ভগবান কৃষ্ণের মতো হয়। সে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সময়ে আমাদের পাশে থাকবে। - আর যারা সুবিধা বাদী বন্ধু, তাদের সুবিধার জন্য দেখা যায়, আর আমরা বিপদে পড়লে, আমাদের বিপদের মধ্যে রেখে, সবার প্রথমে চলে যাবে।
পরবর্তী নীতিতে আচার্য্য চানক্য বলেছেন – মানুষ চেনার উপায় চাণক্য নীতি
ঠিক সে রকম ভাবেই একজন স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া যাবে। যখন টাকা বা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাবে। পণ্ডিত আচার্য চানক্যর মতে, একজন আদর্শ স্ত্রী, পিতা-মাতার মত হয়। তার স্বামীর সুখ আর দুঃখের সময় সমান ভাবে সাথী হবে।
আর যদি স্বার্থপর ও লোভী স্ত্রী হয়। তাহলে ষে বিপদের সময়, তার স্বামীকে বিপদের মধ্যে রেখে অন্য কারো হাত ধরে চলে যেতে পারে।
চাণক্য নীতি কথা বাংলায় pdf – পরবর্তী নীতিতে পণ্ডিত চানক্য বলেছেন –
পণ্ডিত চানক্য তার সমুদ্রনীতির প্রথম সূত্রটি হলো –
যেমন – কারণে বিষাক্ত সাপে ভরা কোন কক্ষে থাকা উচিত নয়।
ঠিক তেমনি প্রচন্ড রাগী, লোভী স্ত্রী এবং স্বার্থপর বন্ধুর সাথে থাকা বিপদ জনক। এদের সাথে থাকা একদমই উচিত নয়।
কারণ এই সমস্ত মানুষ যে কোন সময়, যে কোন ভাবে, আপনার জীবনকে সাপের বিষের মতই বিষাক্ত করে ক্ষতি করতে পারে।
- যে মানুষ নিজের বাবা-মাকে মিথ্যে কথা বলে ঠকায়, সে আমাদের মিথ্যে কথা বলে ঠকাতে একটুও ভাববে না। এরকম চরিত্রের মানুষ লাভের আশায়, যে কোন মানুষকে ক্ষতি করতে পারে।
- তাই আমাদের এরকম মানুষের সাথ এড়িয়ে চলতে হবে। এরকম খারাপ লোক, আমাদের সামনে,মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, বিশ্বাস অর্জন করবে আর সময় মতো তাদের ভাল মানুষের মুখোশ খুলে আমাদের বোকা বানাবে।
- তাই আমাদের এই ধরনের লোকদের সাথ এড়িয়ে চলা উচিত। তা নাহলে এরাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে …
- একজন মানুষ সত্যিকার প্রেমী তখনই হয়। যখন সে তার প্রেমের জন্য সব কিছু করতে পারে। এমনকি নিজের জীবনকে পর্যন্ত তুচ্ছ ভাবতে পারে ।
- একটা মৌমাছির যা শক্তি আছে, তাতে সে শক্ত জিনিস ভেদ করতে সক্ষম। কিন্তু সেই মৌমাছি যখন, একটা পদ্মফুলে আটকে যায়। কিন্তু সেখান থেকে বের হবার ক্ষমতা থাকলেও সে বের হয় না।
- সে নরম ফুলের পাপড়ি ছেড়ে বেরোতে পারছে না। কারণ হলো, জলাশয়ের ফুটে থাকা পদ্মফুলটিকে অনেক ভালোবাসে। সেই কারণে সে চায়না, সুন্দর ফুলের কোন ক্ষতি হোক।
মৌমাছি ভাল করেই জানে, এভাবে আটকে থাকলে তার মৃত্যু ঘটতে পারে।
কিন্তু সে নিজের প্রাণের ভয় না করে, তার ভালোবাসার জন্য নিজের প্রান ত্যাগ করতেও রাজি।
ঠিক সেই ভাবে, যে মানুষ তার জীবনের ত্যাগের ভাবনার আছে,
সেই মানুষ আপনাকে সত্যিকারে ভালোবাসে।
- এরকম চিন্তাভাবনার মানুষকে কখনো বিশ্বাস ভাঙ্গবেন না। তবে এটাও মনে রাখা উচিত, প্রেমের জন্য জীবন দেওয়া কখনই উচিত নয়। আত্মহত্যা নিকৃষ্ট একটাকাজ, এই কাজ করা একদমই ঠিক না।
|
চানক্য |
সেরা চাণক্য নীতি বাংলায় বলেছেন – (চাণক্য পরিকল্পনা কাকে বলে)
একটা চন্দন কাঠকে যতই ছোট টুকরো করে কেটে ফেলা হোক না কেন ?
- তার সুগন্ধ কখনোই শেষ হবেনা । সে ভাবেই জ্ঞানী ব্যক্তির জীবনে যত সমস্যা আসুক না কেন,
- তার ভাল গুন এবং সংস্কার কখনো শেষ হয় না ।
- অন্যদিকে একটা কাককে যতই স্নান করানো হোক না কেন, সে কখনোই ফর্সা হবে না।
- একটা মদের বোতল যতই কেটে ফেলুন না কেন, সেটা কখনোই পবিত্র হবে না ।
- সেভাবেই যে ব্যক্তির মাথায় শুধুই নোংরা চিন্তা রয়েছে,
- বদ মতলবে তার চিন্তা ভাবনা ভর্তি রয়েছে, সেই ব্যক্তিকে শত বার স্নান করানো হলেও পবিত্রও হবে না ।
- তাকে যতই হাজারবার বোঝান হোক না কেন, সে কখনো ভালো চিন্তা করতে পারবে না ।
- আপনি যদি এরকম বাজে চিন্তা ধারার লোকেদের সাথে বন্ধুত্ব করে থাকেন,
- তাহলে একশত ভাগ নিশ্চিত থাকুন, সেই ব্যাক্তি তার খারাপ চিন্তা ভাবনা তার সঙ্গীর মাথাতেও ধীরে ধীরে ভরিয়ে দেবে ।
উপদেশ নীতি বাণী সম্পর্কে চানক্য তার শাস্ত্রে বলেছেন –
- যে ব্যক্তির চরিত্র ভাল এবং সংস্কারি হয়, সে শত কাঁটার মধ্যে থেকেও ফোটা পদ্মের মতো হয় ।
- সে তার সুগন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে দেয়।
- অপরদিকে শয়তান এবং দুষ্ট লোক একটি গোলাপ ফুলের মধ্যে থাকা কাটার মত হয় ।
- যারা এত সুন্দর সমাজে থেকেও খারাপ কাজ করেই যায় । তাই আচার্য চাণক্য আরো বলেছেন, মানুষকে তাদের ধর্ম, জাতি দিয়ে নয়, তাদের কর্ম ও চরিত্র দিয়ে চিনতে হবে ।
- বুঝতে হবে একটা কাক যতই উঁচু টিলার উপর উঠে বসুক না কেন, সে কখনোই ঈগল হতে পারবে না ।সেরকম একটা লোক কতটা মহান, সেটা তার ভালো সংস্কার ও চরিত্র ঠিক করে ।
- চাণক্য বলেছেন, আমাদের দুষ্টু লোকদের তাদের কর্ম থেকে এবং তাদের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে । তাদের ধর্ম ও জাতি দেখে নয় ।
চাণক্য নীতি বাংলা – Chanakya niti in bengali
- তার একটা বাস্তব উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে । ধরে নিন, এক শহরে একজন পেইন্টার বা চিত্রকর ছিলেন এবং আরও ধরে নিন তার নাম ছিল সমীর ।
- তিনি ভাবলেন ভালো একটা ছবি আকবেন । অনেক চেষ্টা করে, তিনি একটা ভালো পেইন্টিং বা ছবি আঁকলেন ।
তিনি মনে মনে ভাবলেন আমার পেইন্টিংটা কেমন হল
- তা যদি সবাই এসে বলে এবং কি কি ভুল রয়েছে তা যদি আমাকে ধরিয়ে দেয়, তাহলে আগামী দিনে আরো ভালো পেইন্টিং করতে পারব ।
- এটা ভেবে, সমীর তার আঁকা ছবি বা সেই পেইন্টিংটিকে রাস্তার মোড়ের সামনে রাখলেন এবং ছবির নিচে লিখে দিলেন,
- এই পেন্টিং-এ কি কি ভুল হয়েছে তা সবাই যেন দেখে ।
- তারপর এভাবে ছবিটি রেখে দিয়ে, এক ঘন্টা পর ফিরে দেখলেন,
- তার পুরো পেইন্টিং-এ নানান আকি বুকিতে ভরা ।
- কারণ সবাই এসে যে যার ইচ্ছা মত, সেই পেইন্টিং এর প্রতিটি জায়গায় দাগিয়ে রেখেছে ।
- যাই হোক ছবিটিকে এই অবস্থায় দেখে মনে মনে সমীরের খুব কষ্ট হল এবং ভাবলেন,
- তিনি হয়তো সত্যি সত্যি পেইন্টিং টা ভাল আঁকতে পারেন নি ।
- পরের দিন সমীর আবার আরো ভালো একটা পেইন্টিং রেডি করলেন ।
- আগের বারের মত তিনি এটাকে আবার মোড়ের মাথায় রেখে দিয়ে এলেন এবং
- আবারও ছবির নিচে একই কথা লিখে দিয়ে এলেন ।
- পরদিন তিনি মোড়ের মাথায় তার রাখা ছবিটি দেখতে গেলেন ।
- গিয়ে অবাক হয়ে দেখলেন, আগের দিনের থেকেও আরও বেশি কাটাকুটিতে তার ছবিটি ভরে আছে ।
নীতি বাক্য বাংলা (সেরা চাণক্য নীতি বাংলায়)
- প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়ে এবং রাগে কাঁপতে কাঁপতে সে দিন সমীর বাড়ি ফিরলেন । এমন সময় তার একজন বন্ধু তাকে সেই অবস্থায় দেখে কারণ জানতে চাইল ।
- সমীর তাঁর বন্ধুকে সব কথা খুলে বললেন এবং শেষে বললেন, পেন্টিং আমার দ্বারা হবে না । আমি আজ থেকে এই আঁকা আঁকির কাজ ছেড়ে দিচ্ছি ।
এটা শুনে বন্ধুটি বলল, তুই শেষ আরেকটা পেইন্টিং তৈরি কর ।
- সমীর জিজ্ঞেস করল, আবার কেন ? তখন তাঁর বন্ধু উত্তর দিল, পরে বলছি । ভাই তুই শুধু শেষ বারের মতো একটা পেইন্টিং আঁক ।
- সমীর আর কোন কথা না বাড়িয়ে, আবার ছবি আঁকতে রাজী হলেন, এবং পরদিন অনেক সময় নিয়ে আরো ভালোভাবে একটা ছবি এঁকে তার বন্ধুর হাতে ধরালেন এবং বললেন, এই নে তোর পেন্টিং ।
- এইবার বল, কেন বানাতে বললি ?
- বন্ধুটি কিছু না বলে ছবিটি হাতে নিল এবং বলল, চল এবার আমার সাথে ।
- সমীরকে সাথে নিয়ে সেই বন্ধুটি ঠিক সেই মোড়ে নিয়ে গেল,
- যেখানে আগের দুই দিন সমীর ছবি রেখে এসেছিলেন ।
- অতপর, বন্ধুটি, পেইন্টিংটি রাস্তার মোড়ে রেখে,
- সমীরকে বলল, তার নিচে লিখে দিতে যে,
- ‘এই পেইন্টিং-এ একটি ভুল রয়েছে। কি ভুল রয়েছে তা খুঁজে বার করুন এবং সংশোধন করে দিন’ ।
- এ কথা লিখে, তারা দুজনেই বাড়ি ফিরে গেল ।
- পরদিন যখন তারা পেইন্টিং এর সামনে এল তখন আরো অবাক হয়ে গেল ।
- পেইন্টিং আগের মতই রয়েছে এবং তাতে কোন দাগ নেই ।
- অর্থাৎ ছবিটিতে কোথায় ভুল আছে সেটা দেখিয়ে পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল ।
- ফলে ছবিটিতে কেউ সামান্যতম পরিবর্তনও করেনি ।
- বন্ধুটি এবার সমীরকে বলল, তোর আগের পেইন্টিং-এ কেবলমাত্র ভুল ধরতে বলা হয়েছিল ।
- তখন সবাই নানান ভুল বার করেছিল এবং অপরের ভুল ধরতে খুব মজা হচ্ছিল তাদের।
- কিন্তু, পাশাপাশি যখন সেই লোকদের, ভুলগুলো শোধরাতে বলা হয়,
- তখন কেউই একটা দাগ দেবার সাহস পায়নি ।
চানক্য ছোট ছোট নীতি বাক্য
- এটা থেকে আমরা শিখলাম, আমাদের জীবনেও এমন অনেক লোক রয়েছেন,
- যারা আমাদের ভুলগুলিই কেবলমাত্র ধরে থাকে,
- কিন্তু সেই ভুল গুলি শোধরাবার কথা একবারের জন্যেও বলে না । বরং তারা এটাই সব সময় বলে,
- তুই এটা পারবি না, তোর এটা করার ক্ষমতা নেই , তুই এটা করা ছেড়ে দে, এসব করে কি হবে ?
- এরকম লোকদের কাজ হলো মানুষের ভুল ধরা, মানুষকে ডিমোটিভেট করা । তাই এরকম ক্ষতিকর লোকেদের নিজের জীবন থেকে বাইরে ফেলে দিতে হবে ।
- পাশাপাশি বন্ধুত্ব এমন লোকদের সাথে করতে হবে, যে আপনার কাজের মর্ম বোঝে ।
চাণক্য নীতি বই প্রথম নীতিতে বলেছিলেন,
- সোনা কতটা খাঁটি, সেটা বোঝার জন্য আমাদের ৪ টি কাজ করতে হবে ।
- এই চারটি কাজ হল,
- সোনা ঘষে দেখতে হবে,
- সেটাকে কেটে দেখতে হবে,
- আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং সোনাকে পিটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা ।
নীতি বাক্য বাংলা
- বইয়ে থাকা বিদ্যা এবং পরের হাতে থাকা ধন একই রকম। কারণ – প্রয়োজন সময় তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়।
- বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকর। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।
- বিশ্বাস মানুষের জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে
- জীবনে কখনও আশা ছেড়ে দিবেন না, কারন – আপনি জানেন না – আপনি লক্ষ্যের কত কাছে আছেন।
- টাকা পয়সার মূল্য বোঝানোর সহজ উপায় হলো – বাচ্চাদের -তাদের কাছ থেকে কিছু ধার করা।