Best Success For life
মানুষ অসফল হওয়ার পিছনে কি কি কারণ রয়েছে বা জীবনে সফল হওয়ার জন্য কি কি অভ্যাসের প্রয়োজন তা জানা দরকার – তা এখনই জেনে নিন।
মানুষ তার জীবনে অসফল হওয়ার পিছনে অনেক কারণ হতে পারে ? তার মধ্যে যে কারণ গুলি বিশেষ ভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। তা নিচে এক এক করে তুলে ধরা হয়েছে, জীবনে সফল হওয়ার জন্য –
সাধারণত সফল হওয়ার জন্য ?
- অসফল মানুষদের মধ্যে যে অভ্যাস দেখা যায় –
- মনে রাখতে হবে – মানুষের অভ্যাস একটি মূল্যবান সম্পদ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য।
- ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে –
- Habit can make you, Habit can break you.
- এর মানে হলো – অভ্যাস এমন একটি মূল্যবান সম্পদ, ভালো অভ্যাস মানুষের জীবনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
- আবার খারাপ অভ্যাস মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
- আমরা সব সময় সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অভ্যাস ও জীবন সম্বন্ধে আলোচনা করি।
- কিন্তু অসফল মানুষদের, সফল না হওয়ার পিছনে কি কি কারণ রয়েছে;
- ও সফল হওয়ার জন্য ভালো অভ্যাস নিয়ে কখনো আলোচনা করা হয়েছে। তাই পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কর্ম জীবনে সফল হওয়ার উপায়
এই পোস্টটি পড়া শুরু করেছেন মানে। ধরে নিতে পারি আপনার মধ্যে সফল হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু কোন কারনে আজও আপনি সফল হতে পারেন নি। তাই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। এটা নিশ্চিত যে – সফল হওয়ার জন্য ? কোন খারাপ অভ্যাস আপনার মধ্যে রয়েছে। এই অভ্যাস পরিবর্তন করে আপনি কিভাবে সফল হবেন তা জেনে নিন।
সবার প্রথমে প্রয়োজন হলো – সফল হওয়ার জন্য,আত্মবিশ্বাস
জীবনে যেটাই করুন না কেন ? সেই কাজে প্রতি সাহস,মনোবল বা আত্মবিশ্বাস না থাকলে ঐ কাজ করতে পারবেন না। যখন সেই কাজটি নিয়ে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকবে তখনই সে কাজে সফল হওয়া যাবে। আর যদি মনে নেগেটিভ মনোভাব চলে আসে। যেমন – আমি করতে পারবো না,আমাকে দ্বারায় কিছুই হবে না। এই রকম নেগেটিভ মনোভাব থাকলে কিছুই হবে না। যদি এই ধরনের মানসিকতা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
যে সফল হওয়ার জন্য নিজের লক্ষ্যের – যে কাজে ঘাম ঝরাচ্ছেন, বা সে নিজে অর্জন করতে পারবে বলে প্রত্যয় থাকলে। তবেই ব্যর্থতাকে সামাল দিয়ে একদিন সফল হওয়া যায়। এই বিশ্বাস নিয়ে নিজের লক্ষ্যে যে কাজ করেছে,সে সফল হয়েছে। অসফল মানুষের মধ্যে – এই অনুভূতির অভাবের কারণেই সফলতা পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
বর্তমান সময়ে যারা সফল তারা কখনও কল্পনাও করতে পারেন নি। যে তারা ধনী হতে পারবে, তাদের সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস কাজ করেছে। তাই নিজের আত্মবিশ্বাস না থাকলে কোনো সময় সফল হওয়া যাবে না।
আমাদের ছোটবেলায় মাথার মধ্যে নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় –
- আমাদের ছোটবেলা থেকেই, আমাদের মাথার মধ্যে নেগেটিভ চিন্তা ভাবন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।যেমন – বেশি টাকা টাকা পয়সা ভালো নয় ! বড় স্বপ্ন দেখা উচিত নয় ! ক্ষমতা অনুযায়ী স্বপ্ন দেখা উচিত !
- কি আজব দুনিয়া – যদি বেশি টাকা টাকা পয়সা ভালো নয়। – তাহলে টাকার জন্য,দিনে ঘন্টার পর ঘন্টা পরিশ্রম কেন করে। তারপরেও টাকা কে বলবে খারাপ বলবে।
- তাহলে সামান্য টাকার জন্য – এত পরিশ্রম কেন করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষ কেন চাকরি করে। তাই এই ধরনের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা মনে থাকা উচিত নয়।
সফল হওয়ার জন্য কাজের পূর্ব পরিকল্পনা এ ব্যর্থতা
- লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
- পরিকল্পনা না থাকলে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।
- সফল হওয়ার জন্য পরিকল্পনা সবসময় আপনার মনের মত নাও হতে পারে। মনের মত হতে হবে, এমন কোন কথা নেই।
- লক্ষ্যে পৌঁছানোর পরিকল্পনা থাকলে, মনের জোর বেড়ে যায়।
- তাই কাজের পূর্ব পরিকল্পনা আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- তবে পরিকল্পনা, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য পরিষ্কার থাকতে হবে।
- আর যদি পরিকল্পনা মাফিক, পরিশ্রম ও মানসিকতা না থাকলে ব্যর্থতা নিশ্চিত !
- তাই সফল হওয়ার জন্য কাজের পূর্ব পরিকল্পনা খুবই প্রয়োজন।
আলসি বা ঢিলামি থাকলে –
বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ বেশি বেশি বলেন। যেমন – আমি এটা করব, আমি ওটা করবো, আমি এটা পারি ওটা পারি, কিন্তু বাস্তবে ওটা কোনো সময় করে না। অথবা আজ নয় কাল করবো, কালকে শুরু করবো। শুধু ভাবতে থাকে আর আলসি বা ঢিলামি করতে থাকে। অনেক সময় নষ্ট করে ফেলে।
- কোন প্ল্যান তৈরি করে বা সিদ্ধান্ত নিয়ে, চিন্তা করলে হবে না। মুখে বললেও কোনো লাভ হবে না।
- আপনি যদি মন থেকে কিছু করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই পথে নামতে হবে, পথে না নামলে, তবেই পথ পাবেন না।
- তাই যে কোনো কাজ বেশি চিন্তা ভাবনা না করে। আজ থেকেই শুরু করতে হবে। শুরু করলেই দেখবেন সামনে অনেক রাস্তা খুলে যাবে।
- তাই আজ থেকে আলসি বা ঢিলামি না করে কাজ শুরু করে দিন।
যতদিন বেঁচে আছেন – জীবনে সফল হওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে থাকুন –
- এমন কিছু মানুষ আছে, তারা যেন সব কিছু জানে। তারা মনে করে অন্য মানুষের মানুষের থেকে শিখলে তাদের স্মার্টনেস নষ্ট হয়ে যাবে।
- এরকম ধারণা একদম ভুল – কারণ – একটা মানুষের পক্ষে সমস্ত ধরনের জ্ঞান থাকা অসম্ভব। জীবনে সফল হতে চাইলে এ রকম মনোভাব থাকা উচিত নয়।
- সফল হতে চাইলে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। সময়ের সাথে সাথে নিজেকেও পরিবর্তন বা আপডেট করা প্রয়োজন।
- অসফল মানুষদের অভ্যাস :-
- আমি অনেক পড়াশোনা করেছি। আমার অনেক বড় ডিগ্রি আছে,আমি সব জানি।
- জীবনে সফল হতে চাইলে – এই যে অভ্যাস এখনই বাদ দেবেন। নিজেকে মধ্যে নতুন জ্ঞান সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
- যারা সফল ও মহান ব্যক্তি – যেমন বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এছাড়াও অনেক মহান ব্যক্তিরা এখনো প্রতিদিন বই পড়েন।
- কারণ – নিজেকে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন বা আপডেট রাখার জন্য।
- তাই সব সময় শেখার চেষ্টা করুন কোন সময় শেখা বন্ধ করবেন না।
জীবনে বড় কিছু হতে চাইলে – অযথা সময় নষ্ট করবেন না
অনেক মানুষ আছে কাজ শুরু করার আগেই চিন্তা শুরু করে। এই কাজে সফল হতে পারবো, কি পারবো না। যদি সফল না হতে পারি, তখন কি হবে ? এসব ভাবতে ভাবতেই অযথা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেকে ভাবে, এই কাজে সফল হওয়া যাবে না। তাই অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। যদি এই ধরণের ভাবনা মনে আসে, তাহলে কখনোই সফল হওয়া যাবে না।
- সফল ও ধনী হতে চাইলে এই কাজ গুলি করুন –
- নিজের কাজ চালিয়ে যান, যথা সাধ্য চেষ্টা ও পরিশ্রম করুন, আপনার মেধার সঠিক ব্যবহার করুন।
সফল হওয়ার জন্য,এই অভ্যাস গুলি ত্যাগ করুন
- যেমন – অযথা টিভি দেখা, অযথা বন্ধুদের সাথে আড্ডা,বাহানা – আমি ক্লান্ত,ভালো লাগছে না অথবা একটানা চার-পাঁচ দিন কাজ করেছি।
- অসফল ব্যক্তিরাযাতে কাজ করতে না হয়। তার জন্য বাহানা করে টিভি দেখেন টিভি দেখতে থাকেন ঘন্টার পর ঘন্টা।
- অযথা টিভি দেখা – এর মানে এটা নয় টিভি বন্ধ, টিভি অবশ্যই দেখুন। নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছাকে ইমপ্রুভ করার জন্য টিভি দেখুন।
- তার জন্য তারগেট ফিক্সট করতে হবে। নির্দিষ্ট কোন সিনেমা বা নির্দিষ্ট খবর অথবা কাজের সম্পর্কে যে দেখে টিভি বন্ধ করা।
- সফল ব্যক্তিরাও টিভি দেখেন – তবে তাদের নির্দিষ্ট কোনো বিষয় দেখতে থাকেন। অথবা কিছু শিখতে থাকে। তারপর টিভি বন্ধ করে দেন।
জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য, শরীর স্বাস্থ্যে বিশেষ ভূমিকা রাখে –
- আমরা সবাই জানি,শরীর স্বাস্থ্যে ঠিক রাখার জন্য কি কি করা প্রয়োজন।
- শরীর স্বাস্থ্যে সঠিক রাখার জন্য,সঠিক খাবার – উল্টা সুলটা খাবার এড়িয়ে চলা। যেমন – ফাস্টফুড জাংক ফুড যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা।
- ব্যায়াম – শরীর স্বাস্থ্যে ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত রুটিন মাপিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
- শরীরের জন্য খাওয়া-খাদ্য যেমন দরকার,তেমনি নিয়মিত ব্যায়াম করাও দরকার।
- বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবলে চলবে না।
- সঠিক সময়ে ঘুমানো – সঠিক সময়ে না ঘুমিয়ে, টিভি দেখা, মোবাইল দেখা, পরের দিন সকালে আলসি ভাব। ভালো লাগছে না। ঘুম কম হলে এরকম মনে হবে, তাই সঠিক সময়ে ঘুমানো প্রয়োজন।
সফল হওয়ার জন্য একটানা কোন কাজ না করা
- মনে রাখা উচিত একটানা কোনো কাজ করা উচিত। সফল এবং অসফল ব্যক্তিদের মধ্যে বড় পার্থক্য হলো।
- সফল ব্যক্তিরা একটানা চেষ্টা করতে থাকে, তারা কোন কাজ ছেড়ে দেয় না।
- উদাহরণ হিসেবে আমরা কোনো কাজে উৎসাহী হয়ে কাজ শুরু করে দেই। এই ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষ, প্রথম কিছুদিন চূড়ান্ত আগ্রহ সহকারে কাজ করি।
- তারপর কিছুদিন পর কোথায় যেন সে সমস্ত উৎসাহ উড়ে যায়।
- সেটা – শরীরচর্চা হোক, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হোক,টাকাপয়সা জমা করার ক্ষেত্রে হোক বেশিদিন ধরে রাখতে পারি না।
জীবনে সফল হওয়ার জন্য যে কোনো কাজে এগিয়ে যেতে ভয়
অনেক মানুষ আছে যারা যে কোনো কাজে এগিয়ে যেতে ভয় পায় – পরিকল্পনা করছেন, কিছুটা কাজও করছেন, কিন্তু মনের মধ্যে ভয় থাকে। যদি ব্যর্থ হই, এই ভয়ে সামনে পা বাড়ানোর সাহস পায় না। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সম্ভাবনা নিশ্চিত না হলেও। অনেক সময় চেষ্টা করে দেখতে হয়। কারণ – জীবনে অনেক কিছুই আছে, চেষ্টা করার আগে, যা সফল হওয়া সম্ভাবনা চোখে পড়ে না। কারণ জীবনে অনেক কিছুই আছে, চেষ্টা করার আগে সম্ভাবনা চোখে পড়ে না।
সব সময় অজুহাত দাঁড় করানো
আমি তো জীবনে, অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু হচ্ছে, এই কাজের জন্য অনেক সময়ে দরকার,আমি পারছি না। মানুষ তো ব্যর্থ হয়,আমিও না হয় ব্যর্থ হলাম। মানুষ ব্যর্থতা থেকেই বাস্তবিক শিক্ষা পায়, এই ধরনের চিন্তা মারাত্মক বাজে অভ্যাস। এই ধরনের অজুহাত দেখানোর মানে, আপনি নিজের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। এগুলি হলো দুর্বল মানুষের লক্ষণ, এ রকম অভ্যাস আপনাকে কোন দিন সফল হতে দেবে না।
অন্যে মানুষের সমালোচনা করা
যে সমস্ত মানুষ অন্যে মানুষের সমালোচনা করে। এর মতো খারাপ অভ্যাস হতে পারে না। যদি সমালোচনা করতেই হয়, তাহলে প্রত্যেক মানুষের অসংখ্য ভালো দিক রয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে সমালোচনা করুন, এর ফলে আপনার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা চেতনা তৈরি হবে। মনে ভালো চিন্তা চেতনা তৈরি হবে। আর ভালো চিন্তা চেতনা, ব্যর্থতা কাটিয়ে সফল হওয়ার জন্য সাহায্য করবে ?
আর যদি খারাপ সমালোচনা করেন – আপনার মনের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আর আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আর সব ধর্মেই বলা হয় পরনিন্দা এবং পরচর্চা পাপ। আর এটাও ম্যান হয় – একজনের দোষ, ত্রুটি অন্যের কাছে বলা এক রকম পাপ। তাই কখনো অন্যে মানুষের সমালোচনা করা উচিত নয়।
এই পোস্ট গুলি পড়তে পারেন 👉 মোটিভেশনাল উক্তি, বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত উক্তি
- Covid- 19
- Election
- Good Morning
- Good Night Wishes
- Happy Holi
- Happy New Year
- Jante Hobe – জানতে হবে
- Job
- Romantic
- Top 10
- Uncategorized
- অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি
- উৎসব
- ঔষধি গাছের উপকারিতা
- খবর
- খাবার
- গুরুত্বপূর্ণ দিবস
- চাণক্যনীতি
- জীবনের গল্প
- ফলের উপকারিতা,Best Benefits of Fruits
- বাণী সমগ্র
- বাংলা কুইজ
- বিখ্যাত উক্তি ও বাণী
- মনীষীদের বাণী ও উক্তি, Bikhato Monishider Ukti
- মোটিভেশনাল
- শরীর স্বাস্থ্য
- শরীর স্বাস্থ্য ও খাবার
- শুভেচ্ছা বার্তা
- হাসির জোকস
It’s actually a great and helpful piece of information. I’m happy that you just shared this useful info with us. Please keep us informed like this. Thank you for sharing.