বাসক পাতার উপকারিতা

 

নানাবিধ উপকারিতা বাসক পাতার

  • আজকের বিষয় বাসক পাতার উপকারিতা সমন্ধে কিছু আলোচনা হয়েছে।
  • বাসকের পাতা আমাদের দেশে প্রায় সব জাগায় দেখা যায়।
  • বাসক পাতার গাছ, ভেষজ উদ্ভিদ হিসাবে জানি ও চিনি।
  • এই গাছ রাস্তার পাশে, জঙ্গল ঝাড়ের – এখানে সেখানে সেঁতসেঁতে জাগায় অনেক দেখা যায়।
 
 
  • এ গাছ লাগাতে  হয় না, আপনা আপনি  হয়। তবে বর্তমান সময়ে বাসক পাতার প্রচুর চাহিদার কারনে। 
  • বাসক পাতার চাষ শুরু হয়েছে। ঔষধ তৈরির জন্য, বাসক পাতা কাঁচামাল প্রচুর চাহিদার রয়েছে।  
  • অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক লাভ করা সম্ভব।  
  • আর এই বাসক পাতার গাছের – মূল, পাতা, ফুল ও ছাল সবই ঔষধ হিসাবে কাজে লাগে। 
 
 
  • দেখতে অনেকটা  জঙ্গলের মতো হয় – লম্বা  ১ থেকে  ২ মিটার  পর্যন্ত উঁচু হয়।
  • আর এই পাতা সবুজ রংএর হয়ে থাকে। এই বাসক পাতার আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সর্দি কাশির মহাঔষধ হিসাবে মানা হয়। 
  • বাসকের পাতা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, অনেক রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • নিচে বাসক পাতার উপকারিতা ও বাসকের ঔষধিগুণ সমন্ধে জেনে নেব।
 

বাসক পাতার রসের উপকারিতা 

  • বাসক পাতার উপকারিতা ব্যবহার ও ঔষধি গুণ। ঠিক কীভাবে বাসক পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী
 
 
  • বাসকের পাতা শুকনো হোক বা কাঁচা দোনোই ঔষধ হিসাবে কাজে লাগে।
  • বাসাক পাতায় ভাসিসিন নামক পদার্থ বা তেল থাকে। যা শ্বাসনালী বা লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে তোলে।
  • তাই বাসক পাতাকে শ্লেমানাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
  • বাসক পাতার রস  তরল শ্লেষ্মা নাশক  হিসাবে বিশেষ উপযোগী। 
 
 
  • যদি অম্লাপিত্ত রোগে  অনেক দিন থেকে ভোগেন। তাহলে এই অম্লাপিত্ত কে বন্ধ করতে হলে, ৭ থেকে ৮ গ্রাম বাসকের ছাল ,আন্দাজ  ৪ কাপ জলে  সিদ্ধ করে।
  • এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে দুই তিন বাড়ে খেলে বিশেষ উপকার পাবেন। 
 

ত্বকের জন্য

  • ত্বকের জন্য, গায়ের রঙ ফর্সা করতে -বাসক পাতার রসে দুই-এক টিপ শঙ্খ ভস্ম মিশিয়ে স্নানের আগে গায়ে লাগালে,গায়ের রং উজ্জ্বল হয়। 
  • যদি গায়ের ঘামের গন্ধ হয়। তাহলে গায়ে বাসক পাতার রস মাখলে, গায়ের দুর্গন্ধের দূর হয়। 
 

অর্শের জন্য 

  • অর্শের বলি যন্ত্রনায়, বাসকের পাতা থেতলে ছোট পুটলি বেঁধে মলদ্বারে সেক  দিলে যন্ত্রনা ও ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বসন্তে সংক্রমণ

  • বসন্তে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাসকের ঔষধিগুণ। বাসকের পাতা সিদ্ধ করে জল খেলে। বসন্তে সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে না। 
  • অনেক সময় টিউমার হয়েছে কিনা, তা বুঝতে বাসকের পাতার রস খাইয়ে নির্ণয় করা যায়। 
  • সর্দি কাশির জন্য বাসক পাতার ও সাথে ১০-১২ টা তুলসী পাতা রস ১ -২ চামচ আর আধা চামচ মধু সাথে মিশিয়ে, অল্প উষ্ণ গরম করে খাওয়ালে। শিশুর  সর্দি কাশির উপকার পাওয়া যায়।
  • মাথায় উকুন থাকলে – বাসক পাতার রস স্নানের আধঃ ঘন্টা আগে মাথায় মাখলে, মাথার উকুন মারা যায়। 
 
  • যদি বুকে কফ জমে, তার জন্য শ্বাস কষ্ট হলে – ১ -২ চামচ বাসক পাতার রস ও ১ চামচ মধুর সাথে খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে। সর্দি কাশি ও কফের জন্য বাসক পাতার রস মহাঔষধের কাজ করে। 
 
  •  হাঁপানি থাকলে তারা বাসক পাতা শুকনো করে। বিড়ির মতো করে বানিয়ে -ধূমপান করলে। শ্বাসকষ্ট থেকে উপশম হয়।
 
  • প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রনা হলে – বাসকের ফুল রস বেটে  ২ -৩ চামচ,আর  ১-  ২ চামচ মিছরি মিশিয়ে সরবত করে খেলে। প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রনা থেকে উপকার পাওয়া যায়। 
 
  • জ্বর হলে বা অল্প অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫ -১০ গ্রাম ধুয়ে ১০০ মিলি লিটার জলে ফোটাতে হবে। সেই জল পান করলে জ্বর থেকে উপকৃত পাবেন। 

দাদ বা চুলকানি

  • দাদ ও চুলকানির জন্য – বাসকের পাতা  ১০ -১২  টি আর এক টুকরা হলুদ।
  • এক সঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানি জাগায় লাগালে, কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে উঠে।

 

  • জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রেও – বাসাক পাতা বা ফুলের রস ১ -২ চামচ মধু বা চিনির সাথে ১ চামচ করে প্রতি দিন খেলে। জন্ডিস রোগের থেকে উপকার পাওয়া যায়। 

 

  • পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হলে। মোটামুটি ২০ টি কচি পাতা নিয়ে, থেতলে দুইকাপ জলে সিদ্ধ করতে হবে।  যখন এক কাপ থাকবে, তখন নামিয়ে – সেই হালকা উষ্ণ জল দিয়ে কুলি কুচি করলে উপকার পাবেন। 

 

  • যদি বাচ্চা দের পেটে কৃমি থাকে। তাহলে বাসক পাতা ছালের রস খাওয়ালে, কৃমি বের হয় বা উপকার পাওয়া যায়। 

শরীরে দাদ থাকলে বাসক পাতার রস লাগালে ভালো হয়। 

  • যদি আপনি এক কলসি জলে ৩ -৪ টি বাসক পাতা  ফেলে তিন – চার ঘন্টা  ভিজিয়ে রাখা যায়। ওই জল বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তারপর  এই জল ব্যবহার করতে পারেন।
  • এ ছাড়াও বাসক পাতাকে  খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত করা যেতে পারে।
  • বাসক পাতার মধ্যে ক্ষারীয় পদার্থ  আছে বলে এতে কোনো রকম ছত্রাক জন্মায় না।
  • বা পোকামাকড় ধরে না, তাই প্যাকিং ও সংরক্ষণের  কাজে এই পাতা ব্যবহার করা হয়।
  • বাসক পাতায় অন্য রকম র্গন্ধ আছে বলে পশুরাও এই পাতা খায়না। 
     
 
  • এই টিপস গুলি – সাধারণ বা হালকা ধরণের অসুবিধার কারণে ব্যবহার করতে পারেন।
  • যদি পুরানো বা জটিল অসুখ হয়। তাহলে ডাক্তার বা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞর সাথে যোগাযোগ করুন।
 
  • বাসক পাতার রসের  উপকারিতা বা বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী ভালো লাগে।
  • তবে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন। 
  • আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকুন। 

 

ধন্যবাদ 🙏🙏🙏

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

3 thoughts on “বাসক পাতার উপকারিতা”

  1. Its like you read my mind! You appear to know a lot about this, like you wrote the book in it or something. I think that you can do with a few pics to drive the message home a little bit, but instead of that, this is magnificent blog. A fantastic read. I’ll definitely be back.

  2. Wonderful goods from you, man. I have take into account your stuff prior to and you’re simply extremely magnificent. I actually like what you have got right here, certainly like what you’re saying and the way in which through which you are saying it. You’re making it entertaining and you continue to take care of to stay it smart. I cant wait to learn far more from you. That is actually a terrific web site.

  3. I like what you guys are up also. Such smart work and reporting! Carry on the superb works guys I have incorporated you guys to my blogroll. I think it’ll improve the value of my site 🙂

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top