চাণক্য নীতির চারটি কথা,Important Four Chanakya Quotes

Important Four Chanakya Quotes

সব সময় চাণক্য নীতির এই চারটি কথা মনে রাখবেন। এই চারটি নীতি জীবনে চলার পথে অনেক সহায়ক হবে।বর্তমান সময়ে পণ্ডিত চাণক্য সমন্ধে জানেন না,এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম আছে।

আজ এই আর্টিকলে চাণক্য নীতিতে চারটি গুরুত্ব পূর্ণ কথা তুলে ধরা হয়েছে।আশা করছি চাণক্য নীতির এই চারটি নীতি কথা প্রত্যেকের জীবনে চলার পথে সহায়ক হবে।

চাণক্য তাঁর নীতিতে – মানুষকে বিশ্বাস করার আগে এই চারটি কথা মনে রাখতে বলেছেন :- 

  • আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনে – যে কোনো সমস্যা আসে, ছোট বা সাধারণ জিনিস থেকে। 
  • আর এই ছোট বা সাধারণ জিনিস থেকে, আমরা অনেক সময় বড় ভুল করে ফেলি ।
  • আর এই ভুল আমরা নিজেরা নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। 
  • অনেক সময় বিশ্বাসও হয় না, আমার জীবনে এটা কি ঘটলো। 
  • তাই চাণক্য নীতি থেকে চারটি গুরুত্ব পূর্ণ নীতি কথা তুলে ধরা হয়েছে।
  • যা বর্তমান বাস্তব সময়ের সাথে অনেক মিল রয়েছে। 
  • চাণক্য নীতির এই চারটি কথা মনে রাখলে, জীবনে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। 
  • চাণক্য নীতিতে এমন কিছু কথা বলে গিয়েছেন। যা বর্তমান সময়েও, জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। 

পণ্ডিত চাণক্য তাঁর নীতির চারটি কথার মধ্যে – (১) মূর্খ্য লোকের সাথে তর্ক করো না। (Don’t Argue With An Ignorant Person)

  • এই উপদেশটা পড়ে মনে হতে পারে।
  • এটা তো সাধারণ কথা – এই ভুলটা কোনো সময় করবেন না।
  • কারণ এই ছোট ভুলের কারণে, আপনার জীবনে বড় বিপদ হতে পারে। 
  • ধরুন আপনার এলাকা, পাড়া প্রতিবেশি বা অফিস যেকোনো জাগায় কারো সাথে।
  • মতে না বনলে আমরা তর্ক-বিতর্ক শুরু করি।
  • অথচ মনে করে দেখবেন, সেটা তেমন কোনো বিষয় না।
  • যখন তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, আর পরে সেটা ঝগড়ায় পরিণত হয়। 
  •  ধরুন তর্কে আপনি ঠিক বলছেন, কিন্তু যার সাথে তর্ক করছেন।
  • সে হয়তো মূর্খ বা জানে না। এক ধরণের মানুষ আছে, সে সরার সাথে তর্ক করে।
  • কারণ – সে তাঁর জীবনে বলার মতো তেমন কিছু অর্জন করতে পারে নি।
  • সে এটাই চাইবে, তার কথার সাথে তাল মিলিয়ে যান।
  • সে ভুল বলুক বা ঠিক বলুক, তার কথা মেনে চলুন। 
  • আর সে নিজেকে এমন ভাবে, যেন সে অনেক জানে, অনেক বোঝে এটাই সে বোঝানোর চেষ্টা করে। 
  • এরাই হলো আসল মূর্খ্য। 
  • আর যদি এদের সাথে তর্ক বা ঝগড়া করেন। তাহলে আপনি হবেন এদের বড় শত্রু।
  • তাই বুদ্ধিমান মানুষের হলো, এমন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকা বা এড়িয়ে চলা
  • আর এদের কথা, এক কান দিয়ে শুনে, আর এক দিয়ে বেড় করে দেওয়া। 
  • চাণক্য নীতিতে এটাও বলা হয়েছে মূর্খ্য ব্যক্তির কথায় হাঁ মিলিয়ে যাও
  • তাহলে দেখবে মূর্খ ব্যক্তি খুশি হয়ে গেছে।
  • তাই মূর্খ্য ব্যক্তির সাথে, তর্ক নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। 

চাণক্য তাঁর নীতির চারটি কথা (২) চাণক্য নীতি ও বাণীতে বলেছেন। নিজের দুর্বলতার কথা কাউকে বলা যাবেনা (Don’t Tell Your Weakness To Anyone)

  • উদাহরণ হিসাবে – মোটামুটি ২০১৯ সালে অনলাইন আসার পর থেকে।
  • প্রতি নিয়ত আমরা কত মানুষের সাথে বন্ধু করে ফেলি। আর তাদের মনের গোপন কথাও বলে ফেলি ! 
  • অথচ তাদের সাথে কোনো সময় দেখা হয় না।
  • তাও আবার তাদের সাথে গভীর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কিন্তু আগের দিনে এমনটা ছিল না।  
  • আগেকার দিনে এমনটা ছিল না ঠিকই। কিন্তু এর মনে এটা নয় লোকের সাথে কথা হয়নি,দেখা হয়নি।
  • অবশ্যই হয়েছে,কিন্তু বন্ধুত্ব হতে অনেক সময় লাগতো। একে অপরকে ভালো ভাবে বুঝতে পারতো। 
  •  আর এরকম গভীর বন্ধুর সংখ্যা অনেক কম ছিল। 
  • আজকাল নতুন বন্ধু হলেই, আমরা আমাদের মনের গোপন কথা শেয়ার করে ফেলি।
  • এটা কি ঠিক ? 
  • আজকে যে বন্ধু আপনার আছে,সে কি চির কাল থাকবে ?
  • না কোনো সময় থাকে না !
  • তারপরে যেটা হয় -বন্ধুত্ব হতে, যেমন সময় লাগে না। আর বন্ধুতো ভাঙ্গতে সময়ও লাগে না। 
  • আর অনলাইনের, বন্ধু বা বন্ধুত্ব কোনো কাজেও আসে না। 
  • একবার বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে – আপনার গোপন কথা নিয়ে ঠাট্টা করবে,অন্য লোকের সামনে বলে দিবে।
  • যদি সেটা আপনার এলাকায় হয়। তাহলে একটু ভাবুন, আপনার মান সম্মান ঠিক থাকবে ?
  • সাথে সাথে এটাও ভাবুন সম্মান একবার চলে গেলে, তা কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব ?
  • সেটা কোনো সময় সম্ভব নয়। 
  • সব সময় মনে রাখবেন -শত্রুর থেকেও ভয়ানক শত্রু হলো সে, যে আগে বন্ধু ছিল।
  • কারন সে আপনার সমন্ধে সব কিছু জানে।
  • আর এটাও জানে আপনার দুর্বলতা কি ?
  • সে আপনার ক্ষতি করার জন্য, সে অবশ্যই আপনার দুর্বলতাকে ব্যবহার করবে।
  • বন্ধুত্ব করুন কিন্তু নিজের  দুর্বলতা কাউকে বলবেন না।
  • তাই সব সময় মনের রাখবেন, নিজের গোপন কথা।
  • পরিবারের মানুষ ছাড়া, অন্য কাউকে বলবেন না বা শেয়ার করবেন না। 

৩) টাকা পয়সা একটু বুঝে শুনে খরচ করতে হবে (Don’t Waste Your Money)

  • যদি একটু ভেবে দেখবেন, টাকা পয়সা আমরা যে ভাবে খরচা করি।
  • যেন আমাদের ভবিষতে কোনো বিপদ আসবেই না। আর আমরা কোনো বিপদে পড়বোই না। 
  • একটু ভাবুন – আপনার অর্থ আজকে দিন দেখে খরচা করা উচিত নয়।
  • টাকা পয়সা আগামীর কালকে দেখে বা ভবিষৎ দেখে খরচা করা উচিত। 
  • আপনার কি মনে হয় ? 
  • আজ সব কিছু ঠিক আছে বলে কালও সব ঠিক থাকবে ? 
  • না বন্ধু এটা কোনো দিনও সম্ভব নয় ! কারণ জীবন সব সময় পরিবর্তন হতে থাকে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম !
  • আজ ভালো সময় থাকলে কাল খারাপ সময়ও আসবে।
  • আজ অনেক অর্থ আছে কাল নাও থাকতে পারে। 
  • তাই সময় থাকতেই অর্থ সঞ্চয় করুন,
  • যাতে খারাপ সময় আসলে সেটা মোকাবেলা করতে পারেন। 
  • আপনার জীবনে আপনি খেয়াল করে দেখবেন ?
  • আপনি যদি কোনো বিপদে পড়েন ?
  • তখন আপনার আশেপাশের মানুষ, আত্মীয় স্বজন যেন কেমন কেমন করবে।
  • মানে তারা আপনার বিপদে সাহায্য করতে চাইছে না। 
  • এটা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন। 
  • বিপদে পড়লে কাছের মানুষের সাহায্য পাবেন না !
  • মানুষের জীবনে ছোট বিপদ আসা প্রয়োজন ?
  • কারণ – বিপদে না পড়লে, বোঝা যায় না। দুনিয়াটা কত কঠিন জায়গা। 
  • তাই টাকা পয়সা সময় থাকতে সেভ করা উচিত।
  • এই কথা গুলি নিজে বুঝুন ও নিজের পরিবারকে বোঝান।
  • তা নাহলে বিপদে পড়লে ভালো দিন গুলির কথা মনে পড়বে।
  • আর ভাবতে থাকবেন সেই সময় টাকা পয়সা কেন সেভ করিনি। আর সেই সময় মনে কষ্ট পাবেন।

 ৪) যে মানুষ আপনার কথায় পাত্তা দেয় না,তাকে কোনো সময় বিশ্বাস করবেন না (Don’t Trust Him Who Ignores You)

  • আমাদের সমাজে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমরা মেলা মেশা করি।
  • কিন্তু সব মানুষের সাথে সম্পর্ক এক রকম হয় না, আর সেটা সম্ভবও নয়।
  • স্বাভাবিক ভাবে সবাইকে একটু বিশ্বাস করলেও।
  • তার মধ্যে কোনো মানুষ আপনার কথা বিশ্বাস করছে না বা গুরুত্ব দিচ্ছে না। 
  • আর এমন ভাব করছে, যেন আপনাকে মানুষ হিসাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সেই সকল মানুষকে কখনো বিশ্বাস করবেন না।
  • কারণ এটা সাইকোলজি ভাবে প্রমাণিত। যে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারবে না,
  • সে আসলে আপনাকে কোনো কারণে সহ্য করতে পারে না।
  • এদের সাথে সেই কথাই বলুন যা সবার সাথে বলা যায়। 
  • মনে রাখবেনএদের  সাথে কোনো প্রকার গোপন কথা বলা যাবে না।
  • আর যদি এমন মানুষের সাথে গোপন কথা বলেন।
  • তাহলে ১০০% গ্যারান্টি আপনি ক্ষতিতে পড়বেন।
  • দয়া করে এই বিষয়টি আপনার মাথায় রাখবেন। 
বন্ধুর উপর বিশ্বাস করা যাবে না – 
  • এছাড়াও চাণক্য নীতিতে এটাও বলা আছে। 
  • খারাপ বন্ধুর উপর কখনো বিশ্বাস করবেন না। ঠিক তেমনি  বন্ধুর উপরও  বিশ্বাস করো না।
  • পণ্ডিত চাণক্য এটাই বোঝাতে চেয়েছেন,
  • বন্ধু ভালোই হোক বা খারাপ।
  • যদি কোনো সময় ঝগড়া বা কোনো সমস্যা হয়,
  • তখন আপনার সকল গোপন কথা অন্যকে বলে দিবে। 

তাই বন্ধু যতই কাছের হোক না কেন ? নিজের পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত কথা কাউকে বলা যাবে না। এই ভুলটি কিছু পুরুষ ও মহিলারা এই ভুলটি করে থাকেন। 

নিজের জীবনের লক্ষ্য বা প্ল্যান করো সাথে শেয়ার করা যাবে না। 
  • আমরা অনেকেই এই ভুলটি করে থাকি !
  • নিজের ব্যবসা, নিজের সফলতার জন্য, যদি কোনো প্ল্যান করি।
  • সেটি আবার সবার সাথে শেয়ার ও করে ফেলি।
  • আর এই জিনিসটা আমাদের সম্পূর্ণ ভুল।
  • আমরা মানুষ আমাদের প্লানে ভুল হতেই পারে ! কাজে অসফলতা হতেই পারে।
  • তখন আমাদের কাছে মানুষ গুলো আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিবে। 
  • তাই নিজের প্ল্যানকে না বলে !
  • নিজের লক্ষ্যের  চলুন – 
  • সফল হলে মানুষ এমনিতেই জানতে পারবে।
  • এছাড়াও চানক্য বলেছেন ?
  • আপনার জীবনে এমন একটা দিনও, এমন যাওয়া উচিত নয়।
  • যে আপনি একটি নতুন কিছু শিখেনি ? প্রত্যেক দিন নতুন,কিছু না কিছু শিখতে থাকুন। 
  • যে ব্যক্তি – 
  • অত্যাচারী, কুদৃষ্টি এবং খারাপ মানুষের সাথে সম্পর্ক করবে। 
  • সে মানুষ খুব দ্রুত ধ্বংসের মুখ মুখী হবে। 
  • চাণক্য নীতির চারটি কথার মধ্যে কোনটি সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ।
  • সেটা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 
  • ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন 🙏  
ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top