আমলকির যত উপকারিতা পুষ্টি,Best Benifite Of Amla,

আমলকির যত উপকারিতা পুষ্টি ও ওষধি গুনাগুণ

 
Best Benifite Of Amla – আমাদের দেশীয় ফল আমলকী সবার কাছে পরিচিত। 
এই ফল সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি রয়েছে নানা রকমের উপকারিতা ও ভেষজ গুন সম্পন্ন ফল। 
 
এই আমলকী  ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন  – সি  রয়েছে। 
এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

 

পুষ্টি বিশেষজ্ঞাদের মতে ,এই ফলের মধ্যে পুষ্টি গুণ – পেয়ারা ও লেবুর চেয়ে তিন গুণ বেশি । 
আর আমলকীর মধ্যে  ভিটামিন  সি  রয়েছে  10  গুণ  বেশি পেয়ারা ও লেবুর তুলনায়। 

আমলকীতে ভিটামিন সি  কমলা থেকে  ১৫ গুণ  ,
আমের চেয়ে ২০ গুণ ,কলার থেকে  ৫০ গুণ ,
ও আপেলের থেকে  ১০০  গুণ  ভিটামিন সি  বেশি থাকে। আমলকির যত উপকারিতা পুষ্টি ও ওষধি গুনাগুণ 

 
একজন প্রাপ্ত বয়স্কের  প্রতিদিন  প্রায়  30 ml  ভিটামিন  সি  প্রয়োজন হয়। 
আমরা  2 থেকে  3 টি আমলকী দিনের  খেলে  ভিটামিন  সি  পূর্তি হয়। 

 

আমলকীর গাছ  8 থেকে 18 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে ও পাতা ঝড়ের মতো। 
এই গাছের ফল হালকা সবুজ বা হলুদ গোলাকৃতি রকমের হয়। 
এই গাছ মোটামুটি  (৪থেকে ৫ )বছর পর থেকে ফল  দেওয়া শুরু করে। এই গাছের ফল আগস্ট -নভেম্বর  মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।

আমলকী গাছের বংশবিস্তার বীজ থেকে হয়ে থাকে। 

 
আমলকীর  যত উপকারিতা
আমলকির ছবি 
 
 

আমলকীর  গুনাগুণ ও উপকারিতা

 
আমলকী আমাদের শরীরের হজমের কাজ করতে সাহায্য করে। 
ও স্টমাক অ্যসিডের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 
 
 
হার্ট সুস্থ  রাখতে  সাহায্য করে ও ফুসফুসকে শক্তিশালী  করে তুলতে সক্ষম। 
 
আমলকী লিভাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেনের কার্যক্রমে কেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

 

কোলেস্টেরল মাত্রা কম করে। 
ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক মানুষ করে। 
নিয়মিত আমলকী খেলে, 
দেহের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ও ধমনী বন্ধ খুলে দিতে সাহায্য করে। 

 

গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর মধ্যে পলিফেনল রয়েছে। 
যা রক্তের অক্সিডেটিভ সুগার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। 
আমলকী রক্তের সুগারকে পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখে ও  ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

 

আমলকী জুস বানিয়ে প্রতি দিন খেলে, আপনার ত্বক সজীব থাকবে। 
ফলে আপনার বয়স সহজে বোঝা যাবে না। 

সৌন্দর্য উপকারিতা জন্য আমলকী

ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে…..! 

ব্রণ বা যে কোনো দাগ দূর করার জন্য, ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। 
এ জন্য আমলকীর পাউডার জলের সাথে মিশিয়ে  বানিয়ে নিন।
তার পর প্যাক ব্যবহার করুন, মোটামুটি  20 মিনিট পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
এই প্যাক যে কোনো ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

ক্ষুধা মন্দা হলে  —
আমলকী গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে, খাওয়ার আগে খেতে পারেন। 
আমলকী গুঁড়ো ও মধু খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। 

আমলকি ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
আমলকী মধ্যে আছে ফাইটো – কেমিক্যাল যা  চোখ ডিজারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ,এছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। 
যেমন  – চোখ দিয়ে জল পড়া ,চোখের চুলকানি  ইত্যাদি।
 লিভার ও জন্ডিসের  উপকারের জন্য  আমলকী  ফলকে ,উপকারী  ফল হিসাবে বিবেচিত করা হয়। 

খাবারের সাথে আমলকীর আচার খেতে পারেন। 
এতে হজম ভালো  ও বদহজম হতে দেয় না।  

কাঁচা আমলকী  স্কার্ভি বা দাঁতের রোগ সারানোর জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে। 
এছাড়াও  প্রতি দিন আমলকীর রস  খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় ,দাঁত শক্ত করে।

আমলকীর টক টক ও তেতো যুক্ত স্বাদ ,মুখের রুচি বৃদ্ধি ও খিদে  বাড়াতে সাহায্য করে। 
আমলকীর রসের  সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। 

মুখের রুচি বা ক্ষুদা মন্দা হলে কাঁচা আমলকী চিবিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 
এছাড়াও পেটের অসুখ ,সর্দি ,কাশি ও রক্ত হীনতার জন্য আমলকি বিশেষ উপকারী ফল। 

 

জেনে নেই আমলকির যত উপকারিতা 

চুল উঠা  বা চুল  পাকা  বন্ধ করতে  —
স্নানের আগে কাঁচা আমলকী ,বেটে রস প্রতিদিন  চুলে লাগিয়ে  –
মোটা  মুটি  দুই তিন ঘন্টা  লাগিয়ে  রেখে ধুয়ে ফেলুন। 
এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত ,চুল উঠা, চুল পাকা বন্ধ হবে ও চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

 

আমলকীর  রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও  পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। 

 
প্রতিদিন সকালে আমলকীর রস ,মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। 
এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হয় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

 

নিয়মিত কাঁচা আমলকী বা রস  খেলে ,
শরীর ঠান্ডা রাখে ,শরীরের কার্য ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ,পেশী মজবুত করে। 
এছাড়াও হৃদযন্ত্র  ,ফুসফুস কে শক্তি শালী করে তোলে।

 
 
ফ্যাট ঝরাতে – শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে আমলকী। 
ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন আমলকী খেতে পারেন। 
 
 
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। 
যা আমাদের দেহের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। 
 
এক গ্লাস দুধ বা জলের মধ্যে আমলকীর গুড়ো ও  সামান্য চিনি মিশিয়ে, দিনে দুবার খেলে –
পেটের ভিতরে এ্যসিডের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করে। 
আমলকী আমাদের পাচনতন্ত্র ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 

গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে –
আমলকীর গুড়োর সাথে মধু মিশিয়ে, দিনে  3-4  বার খেলে গলা ব্যথা ও ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে। 
 
 
নিয়মিত আমলকী খেলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। 
কফ, বমি অনিদ্রা, ব্যথা ও বেদনায় অনেক উপকার পাওয়া যায়।
 
 
আমলকির যত উপকারিতা সমন্ধে আর্টিকেলটি, ভালো লাগলে অবশ্যই  শেয়ার করবেন। আপনারা ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন। সদাসর্বদা আমার বাংলার  সাথে থাকুন। 

ধন্যবাদ 🙏🙏🙏💛

 

ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন !

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top